কৃষিবিদ মো. সামছুল আলম : জলাতঙ্ক একটি মরণব্যাধী। রেবিস ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত কুকুর, বিড়াল, শেয়াল, বেঁজি ও বানরের কামড় বা আচড় দ্বারা আক্রান্ত কোন ব্যাক্তি বা গৃহপালিত পশু জল দেখে আতঙ্কিত হলেই জলাতঙ্ক রোগ হয়। জলাতঙ্ক ভাইরাস জনিত এক ধরনের জুনোটিক রোগ অর্থাৎ এই রোগটি প্রাণী থেকে মানুষে ছড়ায়। রেবিস ভাইরাস নামক একধরণের নিউরোট্রপিক ভাইরাস দিয়ে এই রোগ হয়। এই রোগ সাধারনত গৃহপালিত প্রাণী ও বন্য প্রাণীদের প্রথমে সংক্রমিত করে, মানুষ এই প্রাণীগুলির বা এদের লালার সংস্পর্শে আসলে বা এই প্রাণীগুলি যদি মানুষকে কামড়ায় অথবা আঁচড় দেয় তাহলে এই রোগ মানুষের মধ্যে ছড়াতে পারে। জলাতঙ্ক রোগ এন্টার্কটিকা ছাড়া প্রায় সব মহাদেশেই দেখা গেছে। বিশেষ করে এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি। বিশ্বে প্রতি ৯ মিনিটে ১ জন ও বছরে ৫৯ হাজার মানুষ এ রোগে মৃত্যুবরণ করে। এর মধ্যে শতকরা ৯৫ ভাগ মানুষ এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের।
প্রতিবছর বিশ্বে যত মানুষ কুকুরের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে মারা যায় তার ৯৯ শতাংশই এই রোগের কারণে হয়। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে আমাদের পার্শ্ববতী দেশ ভারতে প্রতি বছর ২০ হাজার ও বাংলাদেশে প্রায় ২ হাজার মানুষ মারা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের পর বাংলাদেশে জলাতঙ্কজনিত রোগীর মৃত্যুসংখ্যা বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। জলাতঙ্ক রোগীর সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ায় তৃতীয় সর্বোচ্চ।
বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় চার থেকে পাঁচ লাখ মানুষ কুকুর, বিড়াল, শিয়ালের এবং বেজির কামড় বা আচঁড়ের শিকার হয়ে থাকেন। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। বিশেষজ্ঞদের মতে, জলাতংক রোগে সাধারণত ১৫ বছরের নিচে শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হয়। এছাড়া প্রায় ২৫ হাজার গবাদিপশু এ রোগের শিকার হয়।
জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হলে ঢোক গিলার সময় ডায়াফ্রাম, রেসপিরেটোরি মাসল ও কণ্ঠনালির তীব্র ব্যথাযুক্ত সংকোচন হয়, বিশেষ করে পানি পান করার চেষ্টা করলে ডায়াফ্রাম ও অন্যান্য রেসপিরেটোরি মাসলের তীব্র সংকোচন ও ব্যথা হয় ফলে রোগীর মধ্য হাইড্রোফোবিয়া বা পানিভীতি তৈরি হয়। এই অবস্থার জন্য বাংলায় এই রোগকে জলাতঙ্ক নামে অভিহিত করা হয়। মূলত: কুকুরের মাধ্যমে রোগটি সংক্রামিত হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে জলাতঙ্ক জীবানুতে কোন কুকুর আক্রান্ত কি না তা জানার জন্য প্রথমত প্রয়োজন দংশিত কুকুরটিকে হত্যা না করে ১০ দিন বেঁধে রেখে চোখে চোখে রাখা। যদি কুকুরটি ১০ দিনের মধ্যে পাগল না হয় বা মারা না যায় তবে বুঝতে হবে কুকুরটি জলাতঙ্ক রোগের রেবিজ জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত নয়। এতে কামড়ানো মানুষটিকে চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। আর যদি কুকুরটি অসুস্থ হয়ে যায় বা পাগল হয়ে যায় অথবা মারা যায় অথবা নিখোঁজ হয়ে যায় তাহলে কামড়ানো মানুষটির চিকিৎসা করানো অবশ্যই দরকার। তাছাড়া নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো প্রকাশ পেলে বুঝতে হবে কুকুরটি জলাতঙ্ক জীবাণুতে আক্রান্ত : প্রথমত সামনে যা কিছু পায় তাতেই কামড়ানোর প্রবণতা দেখায়।কোনো কোনো কুকুরের ক্ষেত্রে চুপচাপ থাকে। বাহিরের আলো সহ্য করতে পারে না। তাই ঘরের কোনে অন্ধকারে ঘুমিয়ে থাকে। তবে সাধারণভাবে আক্রান্ত কুকুরটি ১০ দিনের মধ্যে মারা যায়।এছাড়া আক্রান্ত কুকুরটি উদ্দেশ্যহীনভাবে ছোটাছোটি করলে বা পাগলামী করলে, চলমান কোন বস্তুকে দেখলে কামড় দিতে চাইলে,কুকুরটি পাগল হয়ে গেলে, মুখ থেকে অত্যধিক লালা নিঃসৃত হলে ,ঘন ঘন ঘেউ ঘেউ করলে এবং খাবার হিসেবে জল গ্রহণ না করলে বুঝতে হবে কুকুরটি জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত।
ভেটেরিনারি ডাক্তারদের মতে কোন ব্যক্তি আক্রান্ত হলে যা করতে হবে: প্রথমে আক্রান্ত ব্যক্তির ভীতি দূর করতে হবে। জলাতঙ্কে আক্রান্ত পশুটি মেরে মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে। নিকটবর্তী হাসপাতালে বা ক্লিনিকে নিতে হবে। বাজারে রাবিপুর নামে ইনজেকশন পাওয়া যায়। তা ডাক্তারের পরামর্শে গ্রহণ করতে হবে। প্রথম দিন দেয়ার পর ৩, ৭, ১৪, ৩০ ও ৯০ তম দিনগুলোতে ইনজেকশন দিতে হবে। কুকুর কামড়ানোর পরপরই টিকা নিয়ে মানুষ বেঁচে যেতে পারে।এ রোগে আক্রান্ত গর্ভবতী নারীদেরও এ টিকা দেওয়া যায়। এছাড়া কুকুরে কামড়ানোর সাথে সাথে প্রাথমিক চিকিৎসায় অধিক গুরুত্বপূর্ণ । কিন্তু আমরা না জানার কারণে প্রাথমিক চিকিৎসা না করে ডাক্তারের কাছে দৌড়ায় । কুকুর, বিড়াল, শিয়াল, বেজি, বানরসহ যেকোনো বন্য প্রাণী কামড়ালে প্রথমেই কাপড় কাচার ক্ষারযুক্ত সাবান (রেবিজ ভাইরাসের সেলকে গলিয়ে ফেলে ক্ষার) দিয়ে প্রবহমান পানিতে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ক্ষতস্থান ধুতে হবে। এতে শতকরা ৭০-৯০ ভাগ জীবাণু মারা যায়। তাছাড়া যেকোনো আয়োডিন বা অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম লাগিয়ে দিতে হবে কামড়ানো বা আঁচড় দেওয়ার ‘জিরো আওয়ার’-এর মধ্যে, অর্থাৎ যত দ্রুত সম্ভব টিকা দিয়ে ঝুঁকিমুক্ত থাকতে হবে। আবার যারা এসব প্রাণী নিয়ে কাজ করেন তারা সতর্কতামূলক অন্যান্য টিকার মতো আগেই টিকা দিয়ে রাখবেন, এটাই নিয়ম। তবে মনে রাখতে হবে চিকিৎসকই প্রয়োজনীয় চিকিৎসার উপদেশ দিবেন। কামড় যদি গভীর হয় বা রক্ত বের হয়, তবে ক্ষতস্থানে রেবিজ ইমিউনোগ্লোবিউলিনসহ (আরআইজি) অ্যান্টি রেবিস ভ্যাকসিন যত দ্রুত সম্ভব দিতে হবে। বেশি রক্তপাত হলে তা বন্ধের ব্যবস্থা নিতে হবে। সাধারণত কামড়ানোর ৯ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে জলাতঙ্কের লক্ষণ দেখা দেয়। তাই লক্ষণ প্রকাশের আগেই চিকিৎসা শুরু করতে হবে।
তাছাড়াও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরের তথ্য কর্মকর্তা (প্রাণিসম্পদ) ডা. এনামুল কবির বলেন, কোন ব্যাক্তি যদি আক্রান্ত হয়ে যায় তাহলে সামাজিক প্রথাগত বাটিপড়া, পানপড়া, চিনিপড়া, মিছরিপড়া, ঝাড়ফুঁক ইত্যাদি করা যাবে না। ক্ষতস্থানে কোনো সেলাইন, বরফ, ইলেকট্রিক শক, চিনি, লবণ ইত্যাদি ক্ষারক পদার্থ ব্যবহার করা যাবে না। ক্ষতস্থান কখনোই অন্য কিছু দিয়ে কাটা বা সেলাই, চোষন করা বা ব্যান্ডেজ করা যাবে না। হাত-পা বাঁধাও যাবে না।
এমডিভি এক রিপোর্টে , জাতীয় জলাতঙ্কক নির্মূল কর্মসূচি ডা. এম মুজিবুর রহমান বলেন, জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ‘২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্ব থেকে জলাতঙ্ক নির্মুল’ সূচকে পৌঁছাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO), বিশ্ব প্রাণি স্বাস্থ্যসংস্থা , বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থা ও গ্লোবাল এলায়েন্স ফর র্যাবিস কন্ট্রোল এর সম্মিলিত উদ্যোগে নেপালের কাঠমুন্ডুতে অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া সার্কভুক্ত দেশগুলোতে সর্বশেষ জলাতঙ্ক নির্মূল মূল্যায়ন মাপকাঠিতে বাংলাদেশ ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। স্টেপওয়াইজ এপ্রোচ টুওয়ার্ডস র্যাবিস ইলিমিনেশন কর্মপদ্ধতি হিসাবে বাংলাদেশের অর্জিত স্কোর ২.৫ (স্কোর সীমা ০ থেকে ৫)। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় বাংলাদেশ থেকে একমাত্র এগিয়ে থাকা দেশ ভুটান। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি মাইলফলক।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. শেখ আজিজুর রহমান বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে কুকুর কামড়জনিত জলাতঙ্কমুক্ত বিশ্ব গড়তে হবে। বৈশ্বিক উদ্যোগের অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশও ২০২৩ সালের মধ্যে শতভাগ জলাতঙ্ক রোগ নির্মূল করার লক্ষ্যে জুনোটিক ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম, সিডিসি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ সম্মীলিত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিজ্ঞানভিত্তিক কর্মকৌশলের মাধ্যমে এই অবহেলিত রোগটির বিরুদ্ধে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে এবং বাস্তবায়িত হচ্ছে । এর ফলে জলাতঙ্কজনিত মৃত্যুর সংখ্যা ২০০৯ সালে আনুমানিক ২০০০ এর অধিক থেকে কমে ২০২১ সালে সারাদেশে ৩০ এ নেমে এসেছে।
টিকার মাধ্যমে জলাতঙ্ক প্রতিরোধ হয় এই সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে সারাদেশে ৬৭ টি কেন্দ্রের মাধ্যমে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী ভ্যাকসিন এর চাহিদা দ্বিগুনেরও বেশী বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১২ সালে বিনামূল্যে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার রোগী বেশী টিকা পেয়েছে যা ২০১৮ সালে বৃদ্ধি পেয়ে ২ লাখ ৫৩ হাজার ৪০৯ এ উন্নীত হয়েছে । এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে সিডিসি কর্তৃক সারাদেশে প্রায় তিন লাখ ভায়াল ভ্যাকসিন দেশের বিভিন্ন জেলা সদর হাসপাতাল ও সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল, মহাখালীতে প্রদান করা হয়েছে।
কুকুর বা প্রাণির আচঁড় অথবা কামড়ের পর টিকা প্রদান করলে জলাতঙ্ক প্রতিরোধ হয়। কিন্তু দেশ থেকে জলাতঙ্ক নির্মূল করতে হলে প্রয়োজন প্রথমে কুকুরকে জলাতঙ্ক থেকে নিরাপদ করা। করণীয় কর্মকৌশলের আলোকে ২০২২ সালের মধ্যে প্রতি মিলিয়নে ১ জনের কম জলাতঙ্ক নির্মূল করা। জলাতঙ্ক নির্মূলে ব্যাপকহারে কুকুর টিকাদান কার্যক্রমকে গুরুত্ব দিয়ে ২০২০ পর্যন্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশ ব্যাপী ব্যাপকহারে কুকুরের জলাতঙ্ক প্রতিষেধক টিকাদান (এমডিভি) কার্যক্রমের আওতায় এ পর্যন্ত দেশের ৬৪ টি জেলা সদর পৌরসভা ও ১০টি সিটি কর্পোরেশন এবং ৬০টি জেলার সকল উপজেলায় ১ম রাউন্ড,এবং পরবর্তীতে গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, মাদারীপুর,পাবনা, নীলফামারী জেলায় ২য় রাউন্ড এবং সিরাজগঞ্জ ও গাইবান্ধা জেলায় ৩য় রাউন্ড টিকাদান কার্যক্রমের আওতায় প্রায় ১৬ লাখ ৯৯ হাজার ৪৩০ সংখ্যক কুকুরকে জলাতঙ্ক প্রতিষেধক টিকা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও ২০২০-২১ অর্থ বছরে ৪টি জেলায় প্রথম রাউন্ড ও ১৬টি জেলায় দ্বিতীয় রাউন্ডসহ আরো আনুমানিক ৫ লাখ কুকুরকে টিকা প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে দেশে প্রায় ১৬ লক্ষ কুকুর রয়েছে।
জলাতঙ্ক একটি ভয়ঙ্কর মরণব্যাধি। এ রোগে মৃত্যুর হার শতভাগ। বিশেষজ্ঞরা জানান , ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকা এখন প্রায় জলাতঙ্কমুক্ত এবং সকল কুকুর বাধ্যতামূলকভাবে টিকাপ্রাপ্ত। দক্ষিণ আমেরিকায় ব্যাপক হারে কুকুর টিকাদানের মাধ্যমে জলাতঙ্ক প্রায় নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
ঢাকা জেলার মহাখালীতে অবস্থিত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জাতীয় জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল কেন্দ্র ‘সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল’। এখানে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত রোগীকে সেবা প্রদান করা হয়। পাশাপাশি স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার উদ্যোগে ২০১১ সাল থেকে সারাদেশে ব্যাপক হারে কুকুর টিকাদান কার্যক্রম চালু হয়েছে। এসব কার্যক্রমের পাশাপাশি জলাতঙ্ক রোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম ও দিবস উদযাপনের মাধ্যমে অবহিতকরণ কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে। জলাতঙ্ক রোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে “ জলাতঙ্ক : ভয় নয় , সচেতনতায় জয় ” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারো ২৮ সেপ্টেম্বর উদযাপিত হচ্ছে বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস।
সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১০ থেকে ২০১২ পর্যন্ত সারাদেশে জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দুই হাজার ১৪৭ থেকে এক হাজার ৪৪৫-এ নেমে এসেছে এবং সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালেও এ রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা পূর্বের তুলনায় প্রায় ৬৮ ভাগ হ্রাস পেয়েছে।
বর্তমানে চলমান এসব কার্যক্রমের পাশাপাশি কুকুরের কামড়ের আধুনিক ব্যবস্থাপনা চালু রেখে ব্যাপক হারে কুকুরের টিকাদান কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের সকল কুকুরকে তিন রাউন্ড টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করা গেলে ২০২৩ সালের মধ্যে জলাতঙ্কমুক্ত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে।
লেখক: গণযোগাযোগ কর্মকর্তা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
ই-মেইল: alam4162@gmail.com