মো. আমিনুল ইসলাম (রাজশাহী) : রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় “লেবুজাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ, ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধি” প্রকল্পের আওতায় স্থাপিত প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন এবং প্রদর্শনী কৃষকের সাথে মতবিনিময় করেন প্রকল্পের পরিচালক ড. ফারুক আহমদ । গত সোমবার (০৪ অক্টোবর) গোদাগাড়ী উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করেন। এ সময় সঙ্গে ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহীর জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার উম্মে ছালমা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, গোদাগাড়ীর উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন সুলতানা এবং উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অতনু সরকার।
পরিদর্শনকালে প্রকল্প পরিচালক বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসে চলমান এই প্রকল্পের মাধ্যমে ইতোমধ্যে দেখছি অনেক কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছেন এবং সীডলেস লেবুর সম্প্রসারণ ঘটেছে। লেবুটি সম্পূর্ণ বীজবিহীন। খুবই সুগন্ধি এবং থোকায় থোকায় লেবু আসে। মাত্র চার থেকে পাঁচ মাস পর থেকে গাছে ফল আসে। বারো মাস-ই রোপন করা যায় এবং ছাদে টবের মধ্যেও ভালো চাষ করা যায়। বর্তমানে গোদাগাড়ী উপজেলায় চায়না-৩ (সীডলেস) লেবুতে ব্যাপক সফলতা পেয়েছে।
তিনি আরো বলেন, অনাবাদী পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনাসহ পুকুর পাড়েও অনায়াসে এর চাষাবাদ করা যায়। এতে আপনাদের পুষ্টিহীনতা দূর হওয়ার পাশাপাশি খাদ্যনিরাপত্তাও নিশ্চিত হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার বলেন, গোদাগাড়ী উপজেলার কৃষক এখন আঞ্চলিকভাবে চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি উৎপাদন পর্যায়ে থাকা উদ্যোক্তাগণ অনলাইন প্লাটফরম ব্যবহার করে প্রায় সারা দেশে লেবু ও লেবুর চারা বিক্রি করছেন। লেবুজাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ প্রকল্প বা সাইট্রাস প্রকল্প বরেন্দ্র এলাকা গোদাগাড়ীর কৃষিকে সমৃদ্ধ করতে অনেক বড় অবদান রেখে চলেছে। গোদাগাড়ীর চায়না-৩ লেবু এখন ঢাকার মার্কেটে নিয়মিত বিক্রি হচ্ছে। বৈচিত্র্য বেড়েছে বরেন্দ্রের কৃষিতে, লাভের সন্ধান পেয়েছেন কৃষি উদ্যোক্তারা, আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ ভোক্তা পর্যায়ে লেবু চাহিদা মিটিয়ে সাইট্রাস প্রকল্প এখন পরিবর্তনশীল কৃষির নেতৃত্ব দিচ্ছে।
উক্ত কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা করেন গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মতিয়র রহমান।