নিজস্ব প্রতিবেদক : পুন:স্থাপনকৃত পেনশন ১৫ বছরের পরিবর্তে আট বছর করার বিষয়ে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভা করেছে শতভাগ পেনশন সমর্পণকারী গ্রুপ। রবিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের এ এম এম সালেহ সভা কক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জানানো হয়, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের এলপিআর/পিআরএল শেষ হবার পর হতে ১৫ বছর পর পেনশনে পুন:স্থাপন করে সরকার গত ০৮ অক্টোবর ২০১৮ সালে এক প্রজ্ঞাপন জারী করে। এ প্রজ্ঞাপনের আলোকে একজন শতভাগ পেনশন সমর্পনকারীর বয়স যখন ৭৩ কিংবা ৭৫, তখন তারা পেনশন পুন:স্থাপনের সুযোগ পেতে পারেন। এতে করে অধিকাংশ কর্মচারীই এ বয়সে পৌঁছানোর আগেই মৃত্যুবরণ করে। ফলে তারা প্রদত্ত সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন। অনেকেই গৃহীত আনুতোষিকের অর্থ সংসারে ব্যয় করে এখন নি:স্ব হয়ে নিদারুন অর্থ-কষ্ট, হতাশা ও দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বক্তারা শতভাগ পেনশন সমর্পনকারী কর্মচারীদের আর্থিক দুরাবস্থা ও বার্ধক্যের অকাল পরিণতি বিবেচনা করে আর্থিক ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিতে পেনশন ১৫ বছরের পরিবর্তে আট বছর করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি করেন।
শতভাগ পেনশন সমর্পণকারী গ্রুপের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সিনিয়র সচিব কামারান নেছা খানমের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন কেআইবির সভাপতি ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া, মহাসচিব মো. খায়রুল আলম প্রিন্স, দপ্তর সম্পাদক মো. মিজানুর রহমানসহ শতভাগ পেনশন সমর্পণকারী গ্রুপের আহবায়ক কৃষিবিদ মো. নজরুল ইসলাম, সদস্য এইচ এম মাহফুজুর রহমান, আক্তারুজ্জামান হামিদী, ইনতাজ আলী, ডা. মঈন উদ্দিন, ড. রফিকুল ইসলাম মন্ডল, হাসানুল হক পান্না ও এ এস এম বজলুল হক রানা প্রমুখ।