নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের হত্যাকারীদের পশুতুল্য ও নর্দমার কীট বলে অভিহিত করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি। তিনি বলেন, শেখ রাসেলের মতো নিষ্পাপ দুধের শিশুকে যারা অত্যন্ত নির্মম-নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছিল, তারা মানুষ না; তারা হলো নর্দমার কীট ও পশুতুল্য। আজকে শেখ রাসেল দিবসে আমাদের সকলকে শপথ নিতে হবে ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে যাতে-এরকম হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশে আর কখনো না ঘটতে পারে।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) ঢাকার ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত শেখ রাসেল দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
ধর্মের নামে অপপ্রচার ও মিথ্যাচারের বিষয়ে সচেতন ও সোচ্চার থাকার আহ্বান জানিয়ে ড. রাজ্জাক বলেন, মানবতার শত্রু, ধর্মান্ধ-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এখনও বাংলাদেশে তৎপর। এখনও তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কাজ করে। অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে উন্নয়নের বাংলাদেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যেতে চায়। অতীতেও এই সাম্প্রদায়িক শক্তি বার বার বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতির উপর আঘাত করেছে ও শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করেছে। এদের বিরুদ্ধে সবাইকে স্বস্ব জায়গা থেকে সজাগ থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, যারা সাম্প্রদায়িকতা লালন করে তাদেরকে বঙ্গবন্ধু পশুরতুল্য বলেছিলেন। এই অপশক্তি ও সংকীর্ণমনা পশুদেরকে আমাদের রুখতে হবে। যেকোন মূল্যে এদেরকে দেশের মাটি থেকে নির্মূল করতে হবে। শেখ রাসেল দিবসে এটিই হোক আমাদের দৃঢ় প্রত্যয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ওয়াহিদা আক্তার। অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত সচিব মো: হাসানুজ্জামান কল্লোল, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: আসাদুল্লাহ, সাবেক মহাপরিচালক হামিদুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আলোচনাসভার আগে মন্ত্রী শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষ্যে কেক কাটায় অংশগ্রহণ করেন ও বিএআরসি চত্বরে তাল গাছের চারা রোপণ করেন। এর আগে সকালে বনানীতে শেখ রাসেলের সমাধিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সিনিয়র সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম। এসময় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংস্থা প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননার ঘটনাটি যড়যন্ত্রের, নীল নকশার বহি:প্রকাশ। হিন্দু ধর্মালম্বীদের কেউ তাদের দেবতার পায়ের নিচে মুসলমানদের পবিত্র কোরআন রাখবে- সুস্থ মস্তিষ্কের কেউই এ ঘটনাকে বিশ্বাস করবে না, করতে পারে না। একজন বেকুবও বুঝবে যে, এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও যড়যন্ত্রের অংশ। যারা ধর্মকে ব্যবহার করে চোরাগলি পথে ক্ষমতায় আসতে চায়- তারাই এ কাজ করেছে। ড. রাজ্জাক আরও বলেন, রংপুরে ও কুমিল্লার ঘটনায় জড়িত ও দোষীদের খুঁজে বের করা হবে এবং তাদেরকে আইন অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে।