নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশালে পান ও আমড়া ফসলের পোকামাকড় সনাক্তকরণ ও সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নিরাপদ উৎপাদন প্রযুক্তি শীর্ষক এক কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) রহমতপুরের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে (আরএআরএস’র) বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে চাষকৃত গুরুত্বপূর্ণ ফল, পান, সুপারি ও ডাল ফসলের পোকামাকড় সনাক্তকরণ ও সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও বিস্তার কর্মসূচি’ এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। এ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (আইন অধিশাখা) মো. আলী আকবর।
ভাসমান কৃষি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আরএআরএস’র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম কিবরিয়া। অনুষ্ঠানের মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কর্মসূচি পরিচালক ড. মো. মাহবুবুর রহমান।
বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম সঞ্চালনায় অন্যাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. রফিকুল ইসলাম, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রাজিউদ্দিন, এসও মো. মাহবুবুর রহমান, এসও স্মতি হাসনা, কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক, উজিপুরের পান চাষি মো. ফারুক হোসেন, কৃষাণী শিল্পী রাণী প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, কৃষিতে এখন বানিজ্যিকীকরণ দরকার। সে সাথে প্রয়োজন নিরাপদ খাবারের উৎপাদন বাড়ানো। এ জন্য ফসলের রোগপোকা দমনে রাসায়নিক কীটনাশকের পরিবর্তে দিতে হবে জৈব বালাইনাশক। এতে কৃষকের যেমন উন্নয়ন হবে, পাশাপাশি হবে দেশেরও লাভ।
পরে প্রধান অতিথি কৃষকদের মাঝে পেয়ারা, আমড়া ও সুপারির ৬০০ টি চারা বিনামূল্যে বিতরণ করেন। প্রশিক্ষণে বাবুগঞ্জ, গৌরনদী, উজিরপুর ও ঝালকাঠি সদরের ৩০ জন কৃষক অংশগ্রহণ করেন।