রবিবার , ডিসেম্বর ২২ ২০২৪

পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্যের যোগান দেয়া বড় চ্যালেঞ্জ -কৃষিমন্ত্রী

বিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘বাংলাদেশের ৫০ বছর: কৃষির রূপান্তর ও অর্জন’ শীর্ষক কৃষি সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন ষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি।

নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, এখন আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ হলো সকলের জন্য পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্যের যোগান দেয়া এবং কৃষির আধুনিকায়ন করা। দেশে বর্তমানে প্রায় ৭৫% জমিতে ধান চাষ হয়ে থাকে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানুষ জনপ্রতি প্রায় ২০০ গ্রামের মতো চাল খেয়ে থাকে। কিন্তু আমাদের দেশে চাল খাওয়ার পরিমাণ জনপ্রতি প্রায় ৪০০ গ্রাম। পুষ্টিকর খাবার দুধ, মাছ, মাংস , ডিম, ফলমূল প্রভৃতি খাবার গ্রহণের পরিমাণ বাড়াতে পারলে চালের এ ব্যবহার কমবে। আর চালের ব্যবহার কমিয়ে আনতে পারলে আমাদের যে চালের উৎপাদন সেটাকে টেকসই পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। অন্যদিকে, ধান চাষে জমি কম ব্যবহার করে অন্যান্য ফসলের উৎপাদনে কাজে লাগানো যাবে।

আজ রবিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘বাংলাদেশের ৫০ বছর: কৃষির রূপান্তর ও অর্জন’ শীর্ষক কৃষি সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে  মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরাম (বিএজেএফ) ও বণিক বার্তা এ  সম্মেলনের আয়োজন করে।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের সময়োপযোগী উদ্যোগের ফলে করোনা মহামারির মাঝেও দেশে খাদ্য সংকট হয়নি এবং মানুষ না খেয়ে নেই। বাংলাদেশ আজকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশের খাদ্য ও কৃষিতে অভাবনীয় সফলতা অর্জিত হয়েছে। দেশের উর্বর জমি ও পানি জনগণের জন্য বড় আশীর্বাদ। এ উর্বর ভূমি ও পানি সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে আমাদের কৃষি আরো অনেক দূরে এগিয়ে যাবে।

ড. রাজ্জাক আরো বলেন, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য রপ্তানি করে অনেক আয় করে। কিন্তু আমরা এক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে আছি। আমাদের কৃষিপণ্যের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার বিস্তৃত করতে হবে। এ জন্যে কৃষির প্রক্রিয়াজাত বাড়াতে হবে।

ফলের উৎপাদন বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশে এখন অনেক বিদেশি ও অপ্রচলিত ফল চাষ হচ্ছে। একসময়ে স্ট্রবেরিও হতো না আমাদের দেশে। এখন অনেক ভালো মানের স্ট্রবেরি উৎপাদন হচ্ছে। আগামী ৫ থেকে ৬ বছরের মধ্যে এদেশে সারাবছর আম পাওয়া যাবে এমন পরিকল্পনা নিয়ে আমরা কাজ করছি।

অনুষ্ঠানে দৈনিক বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউএসএআইডি বাংলাদেশের মিশন ডিরেক্টর ক্যাথরিন ডেভিস স্টিভেন্স এবং এফএওর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ রবার্ট ডি. সিম্পসন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, এসিআই এগ্রিবিজনেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী ড. এফ এইচ আনসারী, আকিজ গ্রুপের চেয়ারম্যান শেখ নাসির উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর।

This post has already been read 3410 times!

Check Also

খাদ্য উপদেষ্টার সাথে রাশিয়ান ফেডারেশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স (Acting Ambassador) এর সৌজন্য সাক্ষাৎ

নিজস্ব প্রতিবেদক: খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারের সাথে রাশিয়ান ফেডারেশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স (Acting Ambassador) …