মো. আব্দুলাহ–হিল–কাফি (রাজশাহী) : ভূনিম্নস্থ পানির সুষ্ঠু ব্যবহারের জন্য বোরো ধানের পাশাপাশি রবি ফসলের চাষ বাড়াতে হবে। বরেন্দ্র অঞ্চলে রবি মৌসুমে ডাল জাতীয় ফসলের মধ্যে বারি মাসকালাই-৩, বারি মাসকালাই-৪, বারি খেসারি-৫, বারি মুগডাল-৮ ও বারি ছোলা-৮ এর মত উন্নত জাতগুলো আবাদ বৃদ্ধি করতে হবে। তেল জাতীয় ফসলের মধ্যে বিনা উদ্ভাবিত বিনা সরিষা-৪, বিনা সরিষা-৯ ও বারি সরিষা ১৪, ১৬,১৭ জাতগুলো চাষ করা যেতে পারে। বারি ছোলা-৮ জাতটি আমন ধান কর্ত্ন দেরি হলেও বপন করা যায়। এসব ফসলের জাত গ্রহন করলে অতি সহজে জমিকে ৩ ফসলী শস্য বিন্যাসে রূপান্তর করা যেতে পারে।
বাংলাদেশ তৈলবীজ ও ডাল ফসলের গবেষণা এবং উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত তৈলবীজ ও ডাল ফসলের লাগসই প্রযুক্তি হস্তান্তর শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কমলা রঞ্জন দাশ। শনিবার (২৩ অক্টোবর) রাজশাহীর বিনোদপুরের ফল গবেষণা কেন্দ্রের সেমিনার কক্ষে উক্ত কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
অতিরিক্ত কৃষি সচিব এ সময় তেল ও ডাল জাতীয় ফসলের উপর বিভিন্ন লিফলেট, ফোল্ডার, বুকলেট মাঠ ও কৃষক পর্যায়ে বিতরণের জন্য বলেন। প্রচলিত শস্য পর্যায়ে ডাল ও তেল জাতীয় ফসলকে বিবেচনার জন্য বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেন। এছাড়া তিনি সকলকে সয়াবিন তেলের উপর নির্ভরতা কমিয়ে সরিষা তেলের ওপর নির্ভরশীলতা বাড়ানের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্ম্কর্তা ড. মো. আলিম উদ্দিন -এর সভাপতিত্ত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. রীনা রানী সাহা, পরিচালক, পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন, বিএআরআই, গাজীপুর, মো. সিরাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাজশাহী অঞ্চল, রাজশাহী এবং ড. মো. আব্দুল লতিফ আকন্দ, প্রকল্প পরিচালক এবং সিএসও, তৈলবীজ গবেষণা কেন্দ্র, বিএআরআই, গাজীপুর।
কর্মশালায় কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের ৭০ জন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।