নিজস্ব প্রতিবেদক : কৃষিখাতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে ৫০ মিলিয়ন ডলারের একটি প্রকল্প চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকালে সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন জিন্টিং (Edimon Ginting) এর সাথে বৈঠক শেষে কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদনের অভাবনীয় সাফল্য তুলে ধরেন। বলেন, বাংলাদেশ দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমাদের অনেক উদ্বৃত্ত ফসল রয়েছে। এগুলোকে আমরা আন্তর্জাতিক বাজারে নিয়ে যেতে চাই, রপ্তানি করতে চাই। কিন্তু, রপ্তানি ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে। দেশের আম,আনারস, কলা, টমেটো, আলু ও শাকসবজি প্রভৃতি রপ্তানি এবং প্রক্রিয়াজাতকরণের সম্ভাবনা অনেক। এক্ষেত্রে এডিবির সহযোগিতা প্রয়োজন।
এছাড়া, পূর্বাচলের ২ একর জমিতে আধুনিক প্যাকিং হাউজ নির্মাণ ও আধুনিক টেস্টিং ল্যাব স্থাপনে এডিবির আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা কামনা করেন মন্ত্রী।
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন জিন্টিং কৃষিখাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, পার্বত্য চট্টগ্রাম, হাওরাঞ্চলসহ প্রতিকূল পরিবেশে কৃষির উন্নয়ন, কৃষিপণ্যের রপ্তানি, সেচের পানির ইফিসিয়েন্সি বা সেচদক্ষতা বৃদ্ধি এবং গবেষণা খাতকে শক্তিশালী করতে এডিবি সহযোগিতা প্রদান করবে বলে এসময় জানান তিনি।
সাক্ষাৎকালে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: রুহুল আমিন তালুকদার, উপসচিব ফারহানা আইরিছ, এডিবির ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর জিয়াংবো নিঙ, হেড অব এক্সটার্নাল রিলেশান্স গোবিন্দ বার ও হেড অব পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্ট ইউনিট টিকা লিম্বু উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এডিবির ৫০ মিলিয়ন ডলারের অর্থায়নে ‘ফসল বাণিজ্যিকীকরণ ও উৎপাদনশীলতা উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণের কাজ চলছে। প্রকল্পের প্রস্তাবিত সময়কাল ২০২৩-২০২৮। এর আগে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে এডিপির অর্থায়নে ‘শস্য বহুমুখীকরণ’ শিরোনামে ২০০১-২০০৯ ও ২০১০-২০১৭ মেয়াদে দুটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে।