রাজেকুল ইসলাম (নওগাঁ): অধিক লাভজনক ও ভবিষ্যত উজ্জ্বল কৃষি বিভাগের এমন স্বপ্ন দেখানোর পর কমলা চাষের দিকে ঝুকছে নওগাঁর জেলার রাণীনগর উপজেলার কৃষক। বিক্ষিপ্তভাবে প্রায় ৭বিঘা জমিতে কমলার চাষ করা হচ্ছে। কৃষি বিভাগ অত্র উপজেলার মাটি ও পরিবেশকে কমলা চাষের যুগপযোগী বলেও মনে করছে
উপজেলার রঞ্জনিয়া গ্রামে যেতেই চোখে পড়বে দার্জেলিং কমলার বিশাল বাগান। গাছে গাছে ঝুলে আছে হলুদ কমলা। খেতেও বেশ সুস্বাদ মজাদার। সমতল ভূমিতে কমলা চাষ করে সফল হওয়ার স্বপ্ন বুনছেন। নাইস কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় পরীক্ষা মূলক ভাবে এই কমলা চাষ শুরু করেছে ।
নাইস হোসেন বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়া শেষ করে চাকরীর পেছনে না ছুটে বাবার পরামর্শে প্রায় ৩০বিঘা জমিতে একটি সমন্বিত কৃষি বাগান গড়ে তুলি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার উৎসাহে প্রায় ৩বছর আগে কমলার চাষ শুরু করি। চলতি বছর আমার কমলার গাছে কমলা ধরেছে। সেই কমলাগুলো বর্তমানে পাঁকতে শুরু করেছে। কমলাগুলো খেতে অনেকটাই সুস্বাদু। প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকার মানুষ আমার বাগানের কমলা ও কমলার গাছ দেখতে আসছেন। আমি উৎসাহী ব্যক্তিদের কমলা চাষ বিষয়ে সার্বিক পরামর্শ দিচ্ছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম বলেন, কৃষকদের একঘেয়েমী ফসল চাষ থেকে নতুন অর্থকরী ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করছি। কৃষকদের সহযোগিতায় আমি উপজেলায় নতুন করে নিউটন কচু, মাল্টা, বীজ বিহীন চায়না-৩ লেবু ও ড্রাগন ফলসহ বেশ কিছু অধিক লাভজনক ফসল চাষের প্রচলন শুরু করেছি। সমতল ও উচু জমি কমলা চাষের জন্য খুবই উপযোগি।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৭বিঘা জমিতে আগ্রহী কৃষকদের মাধ্যমে মান্ডারী ও চায়না জাতের কমলা চাষ শুরু করা হয়েছে। প্রথম দিকে চুয়াডাঙ্গা থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন কমলা গাছের চারা এনে উৎসাহী কৃষকদের মাঝে বিতরন করা হয়। কমলা চাষে অন্যান্য ফসলের চাইতে খরচ অনেক কম হওয়ায় এটি অধিক লাভজনক একটি অর্থকরী ফসল। কমলা গাছ রোপনের দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যেই ফল দেওয়া শুরু করে ও প্রতিটি গাছ থেকে ১৫-২০বছর যাবত ফল পাওয়া সম্ভব।