আশিষ তরফদার (পাবনা) : পাবনার ঈশ্বরদীতে মুগ ডালের বিভিন্ন খাদ্য তৈরী প্রতিযোগিতা ও মূল্য সংযোজনের ওপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১০ নভেম্বর) উপজেলার ডাল গবেষণা কেন্দ্র ও আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ঈশ্বরদী,পাবনার মহাপরিচালক কৃষিবিদ ড.দেবাশীষ সরকার।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সিনিয়র সচিব মোঃ মেসবাহুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান কৃষিবিদ ড. শেখ মো. বখতিয়ার । এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. আসাদুল্লাহ ও বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. আমজাদ হোসেন।
অনুষ্ঠানের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল – মুগ ডালের পুষ্টিমান অক্ষুন্ন রেখে বিভিন্ন ধরণের রেসিপি তৈরির মাধ্যমে মূল্য ও ব্যাবহার বৃদ্ধি করা, যাতে করে ডাল ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে পরিবারের পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত ১০০ জন মহিলা কৃষাণী অংশগ্রহন করেছিলেন, যার মধ্যে ১৫ জন মুগ ডালের বিভিন্ন প্রকারের রেসিপি তৈরির প্রতিযোগিতায় রেসিপি প্রদর্শনী করেন । পুষ্টিমানের বিবেচনায় মুগডাল অতি উচ্চ পুষ্টিমান সমৃদ্ধ খাদ্য। এতে আয়রন,জিংক ও ক্যালসিয়াম বিদ্যমান থাকায় কোভিড-১৯ পরিবর্তীত পরিস্থিতি বিবেচনায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এছাড়া মুগাষ্কুর একটি অতি উচ্চ মানের পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে ফসল ধারায় ডাল চাষাবাদের উপর গুরুত্বারোপ করেন এবং দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় ডাল একটি নিরাপদ ও সুষম পুষ্টি হিসেবে খাদ্য অভ্যাসের জন্য আহবান জানান ।
অনুষ্ঠানে সভাপতি তার বক্তব্যে মাটির স্বাস্থ্য রক্ষার পাশাপাশি মানুষের পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের ডাল ফসলের উপর গুরুত্ব তুলে ধরেন। স্বল্প সময়ে চাষযোগ্য দানাজাতীয় শস্যের মধ্যে মুগডাল অতি গুরুত্বপূর্ণ ফসল যা ৫৫-৬০ দিনের মধ্যে চাষ করা যায় ।
ডাল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড.মোঃ মহিউদ্দিন মাঠ দিবসে আংশগ্রহণকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং এই ১০০ জন কৃষক পরিবারকে তাদের খাদ্যাভাসে ডালের অন্তর্ভূক্তি এবং তাদের মাধ্যমে এই খাদ্যাভাসে অন্যান্য কৃষক পরিবারের মাঝে ছড়িয়ে পড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন। তৈরিকৃত রেসিপির পুষ্টিমান ও স্বাদ মূল্যায়নের মাধ্যমে সর্বোত্তম ৩জনকে পুরস্কৃত করা হয় এবং বাকি ১২ জনকে উৎসাহিত করার জন্য শান্তনা পুরস্কার দেওয়া হয়। এর আগে সম্মানিত অতিথিবৃন্দ ঈশ^রদী কৃষি প্রশিক্ষন ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করেন।