নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল) : বরিশালে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ধান, গম ও পাটবীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৭ নভেম্বর) নগরীর ব্রি’র হলরুমে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রকল্প পরিচালক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন। তিনি বলেন, মানুষের খাদ্য ও পুষ্টির নিরাপত্তা দেওয়াই আমাদের কাজ। তবে দেশের অতিরিক্ত লোকের চাহিদা নিশ্চিত করতে অন্য ফসলের পাশাপাশি ধানের উৎপাদন বাড়াতে হবে। এ জন্য দরকার উন্নত জাত ব্যবহার। আর তা কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছানো এ প্রকল্পের মাধ্যমেই সম্ভব। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. তাওফিকুল আলম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ হৃদয়েশ্বর দত্ত এবং বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলমগীর হোসেন।
ডিএই ঝালকাঠির অতিরিক্ত উপপরিচালক মো. অলিউল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. ছাব্বির হোসেন, ডিএই ঝালকাঠির উপপরিচালক মো. ফজলুল হক, ডিএই ভোলার উপপরিচালক আবু মো. এনায়েত উল্লাহ, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের যুগ্ম পরিচালক ড. একেএম মিজানুর রহমান, উপ-প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, ডিএই ঝালকাঠির জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মো. মনিরুল ইসলাম, রহমতপুর হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, ডিএই ঝালকাঠির অতিরিক্ত উপপরিচালক মো. রিফাত শিকদার, ভোলার তজুমুদ্দিনের উপজেলা কৃষি অফিসার অপূর্ব লাল সরকার, আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার পপি, ভোলার জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোর্শেদা আক্তার মিমি প্রমুখ। কর্মশালায় কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ১ শ’ ১০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।