নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশাল মেট্টোপলিটনে কৃষকের মাঝে রবিফসলের প্রণোদনা বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার (২২ নভেম্বর) নগরীর খামারবাড়ির চত্বরে মেট্টোপলিটন কৃষি অফিসের উদ্যোগে প্রণোদনা উদ্বোধন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক মো. তাওফিকুল আলম। এসময় তিনি বলেন, কৃষকের প্রতি বর্তমান সরকারের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। এরই অংশ হিসেবে বিভিন্ন ফসলের জন্য এই প্রণোদনা বিতরণ করা হচ্ছে। আপনারা ফসলের উৎপাদন বাড়াবেন। কৃষি বিষয়ক যেকোনো পরামর্শের জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। আশা করি, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কৃষিতে দেশ এগিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে ডিএই’র উপপরিচালক হারুন-অর-রশিদ, তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের মনিটরিং অফিসার রথীন্দ্রনাথ বিশ^াস, আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ধান, গম ও পাটবীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের মনিটরিং অফিসার মো. তাজুল ইসলাম, ডিএই’র অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) সাবিনা ইয়াসমিন, আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার মো. শাহাদাত হোসেন, মেট্টোপলিটন কৃষি অফিসার সোমা রানী দাস, কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা এস. এম. নাহিদ বিন রফিক অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
কৃষি অফিসার জানান, ১ হাজার ২ শ’ চাষিকে বিভিন্ন ফসলের প্রণোদনা দেওয়া হবে। এর অংশ হিসেবে ৫ শ’ কৃষকের মধ্যে ৪ শ’ জনের জন্য ২ কেজি হারে হাইব্রিড ধানের বীজ রয়েছে। অপর ১ শ’ জনের প্রত্যেককে ৫ কেজি উফশী ধানের বীজ, সে সাথে আছে ডিএপি এবং এমওপি ১০ কেজি করে। বাকি ৭ শ’ কৃষকের জন্য ২০ কেজি গম, ২ কেজি ভুট্টা, ১ কেজি সরিষা, ১ কেজি সূর্যমুখী, ৫ কেজি মুগ, ৫ কেজি মুসুর এবং ৮ কেজি খেসারি মধ্যে যেকোনো একটি ফসলের বীজ। এর পাশাপাশি ডিএপি সার ১০ কেজি করে। আর এমওপি সার দেওয়া হবে গম, ভুট্টা, সরিষা ও সূর্যমুখীর ক্ষেত্রে ১০ কেজি। তবে মুগ, মসুর ও খেসারির জন্য ৫ কেজি। এসব প্রণোদনা প্রতি কৃষকের ১ বিঘা জমিতে ব্যবহার হবে।