বুধবার , ডিসেম্বর ১৮ ২০২৪

আমন সংগ্রহ অভিযান জোরদারের আহবান খাদ্যমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক: খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, কৃষকের আমন ফসল উৎপাদন ভালো হয়েছে। সরকার আমন ধান ও চালের যৌক্তিক দামও নির্ধারণ করেছে। এসময় সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে আমন সংগ্রহ অভিযান সফল করতে খাদ্য বিভাগের মাঠ কর্মকর্তাগণকে আরো মনোযোগী হওয়ার আহবান জানান তিনি।

মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষ থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ‌‘অভ্যন্তরীণ আমন সংগ্রহ অভিযান ২০২১-২২ এর রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায়’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, যে সকল জেলায় নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রকিউরমেন্ট শতভাগ অর্জিত হবে, প্রয়োজনে তাদের আরো বরাদ্দ দেওয়া হবে। যে সকল জেলায় লক্ষমাত্রা অর্জন হবেনা তাদের জবাবদিহি করতে হবে। উত্তরাঞ্চলকে শষ্যভান্ডার উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ অঞ্চল থেকে বেশি ধান সংগ্রহের চেষ্টা করতে হবে। ধান-চাল সংগ্রহকালে কোন কৃষক কিংবা মিল মালিক যেন হয়রানির শিকার না হয় সেটিও নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান মন্ত্রী।

মিল মালিকদের উদ্দেশ্যে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে ধান চালের অভাব নেই। বিগত সময়ে ২৯ লাখ মেট্রিক টন আমদানির অনুমতি দিলেও আমদানি হয়েছে ৮ লাখ মেট্রিক টন। এই সময়ে দেশে চালের অভাব হয়নি। এতে প্রমাণ হয় চালের যথেষ্ট মজুত থাকা সত্ত্বেও কেউ কেউ চালের মজুদ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে

তিনি বলেন, মিল মালিকদের শুধু লাভের কথা চিন্তা করলেই হবেনা.ভোক্তার দিকেও নজর রাখতে হবে। এসময় তিনি মিল মালিকদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন‍“ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ” গড়তে সহযোগী হওয়ার আহবান জানান

জানুয়ারি মাসের মধ্যে আমন সংগ্রহ সম্পন্ন করতে খাদ্য বিভাগের মাঠ কর্মকর্তাগণকে তৎপর হওয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, এখন আবহাওয়া অনুকূলে আছে। এখনই প্রকিউরমেন্ট জোরদার করতে হবে। কোনভাবেই গাছাড়া ভাব বরদাস্ত করা হবেনা বলে সতর্ক করেন মন্ত্রী। অবৈধ মজুতদারীর বিরুদ্ধে মনিটরিং জোরদার হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন,ফুড গ্রেড লাইসেন্স ছাড়া কেউ খাদ্য শষ্য মজুদ করতে পারবেনা। ফুড গ্রেড লাইসেন্সধারীকে পাক্ষিক ক্রয় বিক্রয়ের প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম এর সভাপতিত্বে সভায় খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত সচিব খাজা আব্দুল হান্নান ও রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর বক্তৃতা করেন।

খাদ্য অধিদপ্তরের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের  বিভাগীয়  কমিশনার, জেলা প্রশাসক,খাদ্য বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও মিল মালিকগণ সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

This post has already been read 3730 times!

Check Also

আমন ধানে ব্রাউন প্ল্যান্ট হপার আক্রমণ: ফলনের ক্ষতি ও করণীয়

ড. মো. মাহফুজ আলম: বাংলাদেশে ধান প্রধান ফসল হিসেবে পরিচিত এবং এর উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির …