মো. দেলোয়ার হোসেন (রাজশাহী) : শস্য কর্তনের মাধ্যমে ফসলের ভাল ফলন সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া যায় এবং ফসল চাষে ভুলক্রুটি সংশোধন করে নেয়া যায় বলে জানান নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মো: শামছুল ওয়াদুদ। তিনি বলেন, নওগাঁ সদর উপজেলা হচ্ছে আমন ধান উৎপাদনের অন্যতম এলাকা। এবছর উপজেলায় আমন ধানের ব্যাপক আবাদ হয়েছে এবং ফলনও ভালো পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তন্মর্ধে ব্রি ধান-৪৯ অন্যতম। ব্রি ধান-৪৯ জাতের ধান আবাদ করা হলে ধান কর্তন পরবর্তী সময়ে সরিষা, আলু , গম ও সবজি চাষ করা সম্ভব।
গত সোমবার ( ২২ নভেম্বর) নওগাঁর সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে তিলকপুর ইউনিয়নের ফতেপুর ব্লকের কাদোয়া বটতলায় কৃষক মো: ফেরদৌস হোসেন এর গোলাকৃতি ২০ বর্গমিটার মাপের জমিতে ব্রিধান-৪৯ জাতের আমন ধানের নমুনা শস্য কর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মো: শামছুল ওয়াদুদ। কর্তন শেষে মাড়াই-ঝাড়াই করে ধানে ফলন হেক্টরে ৪.২ মেট্রিক টন পাওয়া যায়।
তিনি আরো বলেন, ফসলের নমুনা শস্য কর্তনের মাধ্যমে সহজেই সকল সমস্যা প্রতিয়মান হয় বলে নমুনা কর্তনের গুরুত্ব অপরিসীম। তিনি উপস্থিত কৃষকদের ধান চাষের পাশাপাশি সরিষা, গম, ভুট্টা, ডাল, তেল, বিভিন্ন শাক-সবজি চাষে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান।
নমুনা শস্য কর্তন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নওগাঁ সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ড. মো: আনোয়ারুর ইসলাম ও উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: হারুন অর রশীদ। অনুষ্ঠানে সভাপত্বিত করেন উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: মেসবাহুল আরেফিন।
ধান কর্তন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, শস্য কর্তনের মাধ্যমে ধানের ফলন সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া যায় এবং স্বল্প মেয়াদী ধান আবাদ করে কম খরচে অধিক ফলন পাওয়া যায়। তিনি উপজেলা কৃষি অফিসের মাঠ কর্মীগণ কৃষকের পাশে থেকে পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে ফসল উৎপাদনে সহায়তাদানে আশ্বাস প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে কৃষি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিক, আদর্শ কৃষকসহ প্রায় ৫০ জন উপস্থিত ছিলেন।