রবিবার , ডিসেম্বর ২২ ২০২৪

কৃষকের ৫ টাকা কেজির পণ্য রাজধানীতে বিক্রি হয় ৭০- ৮০ টাকা!

শনিবার (ডিসেম্বর) ইনষ্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, কৃষক যে পণ্য ৫টাকা কেজিতে বিক্রি করে তা হাত ঘুরে রাজধানীতে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়। দেশের কৃষক পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না।

শনিবার (ডিসেম্বর) ইনষ্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বর্ধিত সভার উদ্বোধনী বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

জি. এম কাদের বলেন, প্রয়োজন ছাড়াই তেলের দাম বড়ানোয় মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়েছে এই অযুহাতে তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে, এখন তো তেলের দাম কমছে কিন্তু তেলের দাম কমানে হচ্ছেনা কেন ? এর আগে তেলের দাম বিশ্বজবাজারে খুবই কম ছিলো তখনো তেলের দাম কমানো হয়নি। বলা হয় জ্বালানী তেলের চোরাচালান রোধে তেলের দাম বাড়ানো হয়, আসলে কখনোই জ্বালানী তেল চোরাচালান করা সম্ভব নয়। ট্রাংকার বা পাইপ লাইনের ছাড়া তেল পাচার করা অসম্ভব। কোন দেশেই জ্বালানী তেল চোরাচালান করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, সাবেক সফল রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ভর্তুকি দিয়ে তেলের দাম প্রতি লিটার ৭টাকা রেখেছিলেন। এখন সেই ডিজেলের দাম এখন ৮০ টাকা। জ্বালানী তেলের দাম বাড়ালে দেশের সব মানুষ কষ্ট পায়। প্রতিটি পণ্য ও সেবার দামও বেড়ে যায় জ্বালানী তেলের দাম বাড়ালে।

তিনি বলেন, কোন ঘোষণা ছাড়াই বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। সাধারণ মানুষ নিজের অজান্তেই বিদ্যুতের অতিরিক্ত বিল দিচ্ছে। পাশাপাশি নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। মানুষ সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে কারো নিয়ন্ত্রণ আছে বলে মনে হচ্ছে না।

জিএম কাদের বলেন, দেশের মানুষের মঙ্গলের জন্যই জাতীয় পার্টির রাজনীতি। তিনি বলেন, গেলো বছর অপরিকল্পিকত লকডাউন দেয়ার কারেন দেশের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। বেকারত্বের সংখ্যা বেড়েছে অনেক গুন। যে দেশে তরুনদের সংখ্যা বেশি সেদেশ তত দ্রæত উন্নতি করে। কিন্তু আমাদের দেশের বেকার তরুনদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেই।

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় তিনি আরো বলেন, তেলের দাম বাড়ার সাথে সাথে গণ পরিবহন কোন ঘোষনা ছাড়াই ধর্মঘট শুরু করে। লাখ লাখ মানুষ পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়ে সড়কের মাঝে। সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কিছু কর্তা পরিবহন মালিকদের সাথে সভা করে পরিবহনের ভাড়া বাড়িয়ে দেয়। সাথে সাথে ন্যাচারাল গ্যাসে চালিত বাস গুলোও ভাড়া বাড়িয়ে দেয়, অথচ গ্যাসের দাম বাড়েনি। আবার সরকার যতটুকু ভাড়া বাড়িয়েছে, শ্রমিকরা তারচেয়েও বেশি ভাড়া আদায় করে। যাত্রীরা অতিরিক্ত ভাড়া দিতে রাজী না হলে তাদের পথে নামিয়ে দেয়া হয়।

This post has already been read 4035 times!

Check Also

বৈষম্যমুক্ত অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিতে কৃষিকে গুরুত্ব দিতে হবে -কৃষি উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন,  বৈষম্যমুক্ত অর্থনৈতিক উন্নয়ন …