নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সার্কভুক্ত দেশসমূহে হিডেন হাঙ্গার রয়েছে। তা নিরসনে ফসলের জাত ও উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবন, বিনিময়, মাঠে তা সম্প্রসারণ এবং উৎপাদিত ফসলের সুষ্ঠু বিপণনে দেশসমূহকে একসাথে কাজ করতে হবে। এতে সব দেশই উপকৃত হবে।
বুধবার (০৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে ৩৭তম সার্ক (SAARC) চার্টার ডে উপলক্ষে সার্ক কৃষি সেন্টার (এসএসি) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সার্ক দেশসমূহে প্রচ্ছন্ন ক্ষুধা বা হিডেন হাঙ্গার’ নিরসনে কৌশলপত্র নিয়ে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শ্রীলংকার কৃষি বিভাগের ডিরেক্টর জেনারেল ড. এসএইচএস অজন্তা ডি সিলভা।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষির টেকসই উন্নয়নে আধুনিক প্রযুক্তির কৃষিতে যেতে হবে। গ্রিন হাউস, গ্লাস হাউস প্রযুক্তিসহ সকল আধুনিক প্রযুক্তি কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। এ বিষয়ে কৃষকদেরকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। সার্ক ফোরাম এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
ড. রাজ্জাক আরো বলেন, দেশের মানুষকে আমরা দানাদার খাদ্যের নিশ্চয়তা দিতে পেরেছি। কিন্তু এখনও পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার দিতে পারছি না। অনেক মানুষের আয়ও কম, সীমিত আয় দিয়ে তারা পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার কিনতে পারে না। আমরা দেশের ছেলেমেয়েদেরকে আরও মেধাবী ও সৃজনশীল হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। সেটি করতে হলে তাদেরকে আরও বেশি করে পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে। সেজন্য, সরকার সকলের জন্য পুষ্টিকর খাবারের নিশ্চয়তা দিতে কাজ করে যাচ্ছে। এসব বিষয়ে সার্ক দেশসমূহকে একসাথে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ারের সভাপতিত্বে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এডিশনাল ফরেন সেক্রেটারি (সার্ক ও বিমসটেক) মো. সামসুল হক, সার্ক কৃষি সেন্টারের পরিচালক মো. বখতিয়ার হোসেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের হর্টিকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কামরুল হাসান, কেজিএফের প্রোগ্রাম বিশেষজ্ঞ ড. শাহাবুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন ।