বৃহস্পতিবার , নভেম্বর ২১ ২০২৪

ব্রি’তে কৃষি প্রযুক্তি কেন্দ্র স্থাপন করবে কানাডার গ্লোবাল ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : গ্লোবাল ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটি (জিআইএফএস), ইউনিভার্সিটি অফ সাসকাচোয়ান, কানাডা,  বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে (ব্রি) একটি বিশ্বমানের “বঙ্গবন্ধু-পিয়েরে ট্রুডো কৃষি প্রযুক্তি কেন্দ্র” স্থাপন করতে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল (০৯ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার ব্রি পরিদর্শন করেছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে নার্সভুক্ত ইনস্টিটিউটের সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয়ে এক আলোচনা ব্রির প্রশিক্ষণ কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু চেয়ার ইন ফুড সিকিউরিটি, ইউনিভার্সিটি অফ সাসকাচোয়ান, কানাডা অ্যান্ড্রু শার্প, রিসার্চ সায়েন্টিস্ট, ন্যাশনাল রিসার্চ কাউন্সিল, এনআরসি, সাসকাচোয়ান, পঙ্কজ ভৌমিক, ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রাম ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার, জিআইএফএস, ইউনিভার্সিটি অফ সাসকাচোয়ান হাসান পারভেজ আহমেদ,  ড. মো. শাহজাহান কবির, মহাপরিচালক, ব্রি, ড. মো. আবু বকর ছিদ্দিক, পরিচালক প্রশাসন, ব্রি এবং ড. মো. খালেকুজ্জামান, পরিচালক (গবেষণা) সহ এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এই সভায় উপস্থিত ছিলেন।

এই উদ্যোগটি বাংলাদেশের দরিদ্র, প্রান্তিক এবং সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার কাঠামোগত কারণগুলি চিহ্নিত করবে এবং মোকাবেলা করবে গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলি যেমন জলবায়ু-সহনশীল জাতগুলির উন্নয়ন, মাটির গুণাগুণ এবং স্বাস্থ্য, ভূ-গর্ভস্থ পানি ব্যবস্থাপনা, খাদ্যের অপচয় কমানো এবং বাজারজাতযোগ্য খাদ্য পণ্যের বিকাশে কাজ করবে।

এ বিষয়ে ড. মো. শাহজাহান কবীর, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট বলেন, “মাননীয় কৃষিমন্ত্রীর সম্মতিতে প্রস্তাবিত কৃষি প্রযুক্তি কেন্দ্র  ব্রি-তে প্রতিষ্ঠিত হলে টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত গবেষণা ও উন্নয়ন, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি হস্তান্তর কর্মসূচিতে নতুন মাত্রা যোগ হবে। ধান বাংলাদেশের প্রধান ফসল। চালের নিরাপত্তা এখানে খাদ্য নিরাপত্তার সমার্থক। বঙ্গবন্ধু-পিয়েরে ইলিয়ট ট্রুডো কৃষি প্রযুক্তি কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা ব্রি-তে প্রয়োজনীয় জায়গা ও সুবিধাদি দিতে প্রস্তুত আছি।”

ড. শাহজাহান কবীর যোগ করেন “যদি আমরা এর কৌশলগত লক্ষ্য এবং মিশন বিবেচনা করি যেমন- জাতীয় কৃষি গবেষণার সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, মানব সম্পদ উন্নয়ন, জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং অংশীদারিত্ব, সমস্ত প্রকল্পে জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা এবং স্থায়িত্বকে একীভূত করা, এবং দরিদ্র ও প্রান্তিক কৃষক এবং নারীদের সমর্থন করে এমন কার্যক্রম ব্রি-এর কৌশলগত দিকগুলির সাথে মিলে যায়,” স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের জনসংখ্যা আড়াই গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

কিন্তু এ সময়ে ধানের উৎপাদন সাড়ে তিন গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন কৃষিবান্ধব সরকারের দৃঢ় সমর্থন এবং দেশের বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণ এজেন্ট এবং কৃষকদের সাফল্যের গল্প প্রতিফলিত করে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এই অসাধারণ সাফল্যের গল্পের অন্যতম অংশীদার।

This post has already been read 4187 times!

Check Also

আমদানি নির্ভরতা নিরসনে যুগান্তকারী উদ্যোগ: দেশেই তৈরি হবে হোল ফিড কম্বাইন হারভেস্টার

সি‌লেট সংবাদদাতা: দেশের কৃষি যান্ত্রিকীকরণে আমদানি নির্ভরতা নিরসনে যুগান্তকারী এক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ ধান …