রবিবার , ডিসেম্বর ২২ ২০২৪

উত্তরাঞ্চলে সুগন্ধি ধানের বাণিজ্যিক আবাদ বাড়ানোর উদ্যোগ

সিরাজগঞ্জ: বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের জীবন-মান উন্নয়নের ফলে সরু ও সুগন্ধি ধানের চাহিদা বেড়েছে। কালের বিবর্তনে শুধু পারিবারিক প্রয়োজনে নয়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সুগন্ধি ধান চাষ হচ্ছে। কারণ এই ধান চাষে সমান শ্রমে লাভ বেশি। তাই উচ্চফলনশীল সুগন্ধি ও প্রিমিয়াম জাতের বাণিজ্যিক আবাদ সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের সার্বিক তত্বাবধানে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ও বেসরকারী সংস্থা এসেডস, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ এর উদ্যোগে ‘স্কেলিং আপ প্রিমিয়াম কোয়ালিটি রাইস ইন নর্দান রিজিয়ন অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকল্পের প্রারম্ভিক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শনিবার (১১ ডিসেম্বর) বেসরকারী সংস্থা এসেডস, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ প্রাঙ্গণে ব্রি ও এসেডস যৌথভাবে ‘স্কেলিং আপ প্রিমিয়াম কোয়ালিটি রাইস ইন নর্দান রিজিয়ন অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালাটি আয়োজন করে।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর বলেন, সোনালী ধান কৃষকের সোনালী স্বপ্ন, এ দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাংলার মাঠ-ঘাট বছরের অধিকাংশ সময়ই সোনালী ধানে আবৃত থাকে। দেখে মনে হয় এ যেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানেরই স্বপ্নের সেই ‘সোনার বাংলা’। সুদীর্ঘ কাল থেকে গ্রাম বা শহরে ধনী কিংবা গরীব সকলের ঘরোয়া উৎসবে, অতিথি আপ্যায়নে সুগন্ধি ও প্রিমিয়াম চালের তৈরি নানান মুখরোচক খাবার আমাদের ঐতিহ্যের অংশ। ঈদ-পূজা-পার্বনসহ নানা উৎসব ও আয়োজনে অতিথি আপ্যায়নে সুগন্ধি চালের তৈরি পোলাও, বিরিয়ানি, কাচ্চি, ফিন্নি, পিঠাপুলিসহ নানান মুখরোচক খাবার পরিবেশন বাঙালী সংস্কতির অংশ।

কর্মশালায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বগুড়া অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষিবিদ মো. ইউসুফ রানা মন্ডল। বিশেষ অতিথি হিসেবে আমাদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর,  মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং প্রধান,  ফলিত গবেষণা বিভাগ, ব্রি , কৃষিবিদ মো. আবু হানিফ উপ পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সিরাজগঞ্জ, কৃষিবিদ মো. দুলাল হোসেন, উপ পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বগুড়া এবং ­জনাব তৃপ্তি কণা মন্ডল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কৃষিবিদ মো. সাখাওয়াত হোসেন (সুইট), চেয়ারম্যান, এসেডস, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ।

কর্মশালায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- ড. মো. রফিকুল ইসলাম, প্রিন্সিপাল সাইন্টিফিক অফিসার, ফলিত গবেষণা বিভাগ, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট। মূলপ্রবন্ধের উপর আলোচনা করেন- ড. বিশ্বজিৎ কর্মকার, প্রিন্সিপাল সাইন্টিফিক অফিসার, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট। মুক্ত আলোচনা পর্ব পরিচালনা করেন- ড. খন্দকার মো. ইফতেখারুদ্দৌলা, মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ, ব্রি।

অন্যানের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানবৃন্দ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রায়গঞ্জ ও তাড়াশ উপজেলার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাগণ, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাবৃন্দ ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ, বেসরকারী সংস্থা এসেডস এর কর্মকর্তাবৃন্দ। রায়গঞ্জ ও তাড়াশ উপজেলার স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ, কৃষক প্রতিনিধিবৃন্দ।

This post has already been read 4447 times!

Check Also

আমন ধানে ব্রাউন প্ল্যান্ট হপার আক্রমণ: ফলনের ক্ষতি ও করণীয়

ড. মো. মাহফুজ আলম: বাংলাদেশে ধান প্রধান ফসল হিসেবে পরিচিত এবং এর উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির …