নিজস্ব প্রতিবেদক: ওয়ার্ল্ডস পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন- বাংলাদেশ শাখা’র (ওয়াপসা-বিবি) সভাপতি মসিউর রহমান বলেছেন, পোলট্রি শিল্প নিয়ে কথিত গবেষণার লক্ষ্য কি দেশীয় পোল্ট্রি শিল্পের উন্নয়ন? নাকি ক্ষতি সাধন করা- সে বিষয়েও আমরা ঠিক বুঝতে পারছি না। সম্প্রতি ব্রয়লার মাংস নিয়ে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সাম্প্রতিক গবেষণা প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন। গবেষণাটি কিভাবে হয়েছে, নমুনা সংগ্রহ, গবেষণা পদ্ধতি, গবেষণার উদ্দেশ্য প্রভৃতি বিষয় খতিয়ে দেখা দরকার, যোগ করেন মসিউর রহমান।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) ওয়ার্ল্ডস পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন- বাংলাদেশ শাখা’র (ওয়াপসা-বিবি) বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি- এ ধরনের গবেষণাগুলো Problematic এলাকা ধরেই পরিচালিত হচ্ছে। ফলে গবেষণা না করেই অনেকক্ষেত্রে বলে দেয়া সম্ভব, Result কী আসতে পারে। বিজ্ঞান ও শিল্প একে অন্যের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। পোল্ট্রি একটি বিজ্ঞানভিত্তিক শিল্প। তাই দেশীয় পোল্ট্রি শিল্পের অগ্রগতিতে বিজ্ঞান ও গবেষণাকে যথোপযুক্তভাবে কাজে লাগাতে হবে এবং সেক্ষেত্রে ওয়াপসা-বাংলাদেশ শাখা গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করতে পারে।
মসিউর রহমান বলেন, যে এলাকা থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে সে এলাকার পানিতে মাত্রাতিরিক্ত দূষণের খবর প্রচার করেছে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল; অথচ ট্যানারি কিংবা গার্মেন্টস শিল্পকে দোষী না বানিয়ে পোল্ট্রি শিল্পকে ভিলেন বানানো হচ্ছে। বরাবরের মত এ গবেষণাতেও আনঅর্গানাইজড সেক্টর এবং অনিবন্ধিত পোল্ট্রি খামার ও ফিড মিলকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। অর্গানাইজড সেক্টর নিয়ে গবেষণা হচ্ছেনা। সংশ্লিষ্ট অ্যাসোসিয়েশনগুলোকেও আমলে নেয়া হচ্ছেনা। তাই এ বিষয়ে আমাদের কাজ করা দরকার। বেশ ক’বছর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনৈক এক অধ্যাপকের ভুল গবেষণার বলি হতে হয়েছিল দেশীয় পোল্ট্রি শিল্পকে। সে কারণেই এ ধরনের গবেষণাগুলো সম্পর্কে আমাদের ভালভাবে জানা দরকার। এর পাশাপাশি অরগানাইজড সেক্টর নিয়ে একাধিক গবেষণাও করা দরকার। তা না হলে দেশীয় পোল্ট্রি শিল্প কতটা অগ্রগতি অর্জন করেছে; ডিম ও মুরগির মাংসের Quality KZUv Improveকরেছে- সে সম্পর্কে সাধারন ভোক্তারা কিছুই জানতে পারছেন না। ফলে তাঁরা ভুলের মাঝেই রয়ে যাচ্ছেন এবং মুরগির মাংস ও ডিম সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণাই পোষণ করছেন। বর্তমান কমিটি চেষ্টা করবে এ বিষয়েও কিছু কাজ করতে এবং জনমনে বিরাজমান বিভ্রান্তিগুলো দূর করতে।
তিনি আরো বলেন, সদস্য সংখ্যা এবং প্রায়োগিক ক্ষেত্রে অবদান বিবেচনায় ওয়াপসা- বাংলাদেশ শাখা বিগত বছরগুলোতে বিশ্বে শীর্ষ স্থান অধিকার করেছে। এ সম্মান আমরা ধরে রাখতে চাই। আমি মনে করি শুধুমাত্র সদস্য সংখ্যার ভিত্তিতে নয় বরং মৌলিক গবেষণা, ইনোভেটিভ এপ্রোচ এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে পোল্ট্রি খাতের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার মাধ্যমেই আগামীতে ওয়াপসা-বাংলাদেশ শাখা তার স্বকীয়তা, স্বাতন্ত্র্য ও সম্মান অক্ষ‚ন্ন রাখবে। প্রত্যেকের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অবদানের মধ্য দিয়েই আজকের অর্জন সম্ভব হয়েছে। আমরা সামনে এগুতে চাই এবং সেজন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।