রবিবার , ডিসেম্বর ২২ ২০২৪

কৃষির অর্জন, সমস্যা ও সমাধান নিয়ে যেসব কথা জানালেন ড. আনসারী

নিজস্ব প্রতিবেদক : আশির দশকে কৃষি যেখানে ছিল কেবল জীবীকা নির্ভর বর্তমানে সেটি হয়েছে বাণিজ্যিক; সেই সময় যেসব ফসল ছিল অপেক্ষাকৃত কম উৎপাদনশীল বর্তমানে বাংলাদেশ সেখানে  বিশ্বের বুকে সবজি উৎপাদনে তৃতীয় এবং মৎস্য উৎপাদনে পঞ্চম স্থান দখল করেছে; কৃষি সেই সময় ছিল সনাতন শ্রম নির্ভর; বর্তমানে জমি চাষ, বীজ বপন ও ফসল কর্তন হয়ে উঠছে যন্ত্রনির্ভর; সেই সময় অবকাঠামোগত ও বাজার সম্পর্কে তথ্য প্রাপ্তির ঘাটতি ছিল বর্তমানে সেটি নেই; এবং বেড়েছে শস্য নিবিড়তা। বাংলাদেশের কৃষি নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে দিনকে দিন হয়ে উঠছে রপ্তানি নির্ভর। এসবই আমাদের অর্জন যার আসল নায়ক এদেশের কৃষক; কিন্তু আমাদের যেতে হবে আরো বহুদূর।

সম্প্রতি International Conference on 4th Industrial Revolution (IC4IR) অনুষ্ঠানে এসব কথা উঠে আসে এসিআই এগ্রিবিজনেস -এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এফএইচ আনসারী’র প্রধান প্রবন্ধ উপস্থাপনায়। তবে কৃষির কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছতে হলে আমাদের কৃষকদের সমস্যা, সেগুলোর সমাধান নিয়ে ভাবতে হবে এবং আমাদেরও (এসিআই) এক্ষেত্রে কিছু লক্ষ্য/ উদ্দেশ্য আছে, যোগ করেন ড. আনসারী।

কৃষকদের মূল সমস্যাগুলো আলোচনা করতে যেয়ে ড. আনসারী বলেন, মানসম্পন্ন বীজের অভাব ভালো উৎপাদনের ক্ষেত্রে একটি প্রধান অন্তরায়। এছাড়াও সুষম সারের অভাবে ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হয়. কীটপতঙ্গ, আগাছা এবং রোগ দ্বারা ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সনাতন নির্ভর চাষাবাদ বিদ্যমান থাকায় উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়, প্রোটিনের চাহিদা এবং সরবরাহের মধ্যে রয়েছে বিশাল ব্যবধান, উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন আমাদের কৃষক। এসব সমস্যা উত্তরণের ক্ষেত্রে মানসম্পন্ন বীজের ব্যবহার, অন্যান্য সারের পাশাপাশি ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট এবং ফলিয়ার সার ব্যবহার, পোকামাকড়, আগাছা এবং রোগ থেকে ফসল রক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, খরচ সাশ্রয়ী যান্ত্রিক কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার, প্রোটিনের উৎপাদন বাড়িয়ে চাহিদা-যোগানের সমন্বয় করতে হবে এবং কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে।

This post has already been read 3712 times!

Check Also

ডিম ও মুরগির বাজার স্থিতিশীলতায় দরকার  “জাতীয় পোল্ট্রি বোর্ড” গঠন

কৃষিবিদ অঞ্জন মজুমদার : পোল্ট্রি শিল্পের সাথে আন্ত:মন্ত্রনালয়, আন্ত:অধিদপ্তর  এবং উৎপাদন ও বিপননে ডজনের উপরে …