রবিবার , ডিসেম্বর ২২ ২০২৪

ফসলের জাতে বিদেশ নির্ভরতা কমানোর তাগিদ কৃষিমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে চাষোপযোগী ফসল বিশেষ করে ফলের জাত দেশেই বেশি করে উদ্ভাবন করে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনতে বিজ্ঞানী-গবেষকদের নির্দেশ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ফসলের জাতের ক্ষেত্রে বিদেশনির্ভরতা ও আমদানিনির্ভরতা কমাতে হবে। আমাদের দেশের চাষোপযোগী জাত আমাদের বিজ্ঞানীদেরকেই করতে হবে। বিশেষ করে ফলের জাত উদ্ভাবনে বিজ্ঞানী-গবেষকদের আরও সক্রিয় হতে হবে, নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রকল্প পরিচালকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, সরকারি টাকা হলো জনগণের টাকা। জনগণের অর্থে প্রকল্প পরিচালিত হয়। সেজন্য, অত্যন্ত স্বচ্ছতার সাথে অর্থ ব্যয় করতে হবে। জনগণের টাকা কোথায় কীভাবে কী কাজে ব্যয় হচ্ছে- তা জনগণকে জানাতে হবে। যাতে জনগণ জানতে পারে, বুঝতে পারে তাদের অর্থ দিয়ে কী কাজ হয়েছে,কতটুকু কাজ হয়েছে।

ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, প্রতিবছর আমাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়ছে। অন্যদিকে জনসংখ্যা বাড়ছে, খাদ্যের চাহিদাও বাড়ছে। কাজেই, জনসংখ্যা ও খাদ্য চাহিদা বৃদ্ধির সাথে তাল মিলিয়ে খাদ্য উৎপাদন ধরে রাখা ও তা আরো বাড়াতে হবে। সেলক্ষ্যে নতুন উদ্ভাবিত উচ্চ উৎপাদনশীল জাতগুলোকে দ্রুত কৃষকের নিকট, মাঠে নিয়ে যেতে হবে।  এক্ষেত্রে সকল সংস্থাকে সমন্বিতভাবে আরও জোরাল তৎপরতা চালাতে হবে।

সভায় জানানো হয়, চলমান ২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের সংখ্যা ৭০টি। মোট বরাদ্দ ২ হাজার ৯১৮ কোটি টাকা। নভেম্বর ২০২১ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে ২৪%, যা জাতীয় গড় অগ্রগতিরে চেয়ে ৫% বেশি। এ সময়ে জাতীয় গড় অগ্রগতি হয়েছে ১৮.৬০%।

সভাটি সঞ্চালনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম। তিনি বলেন, কোনভাবেই প্রকল্প বাস্তবায়নে পিছিয়ে থাকা যাবে না। প্রকল্প বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়ের বিগত বছরের সাফল্য এ বছরও ধরে রাখতে হবে। সেজন্য, গুণগতমান বজায় রেখে যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।

সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মো: আবদুর রৌফ, কমলারঞ্জন দাশ, হাসানুজ্জামান কল্লোল, ওয়াহিদা আক্তার, বলাই কৃষ্ণ হাজরা,আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ এনডিসি, অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংস্থাপ্রধান ও  প্রকল্প পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

This post has already been read 3290 times!

Check Also

আমন ধানে ব্রাউন প্ল্যান্ট হপার আক্রমণ: ফলনের ক্ষতি ও করণীয়

ড. মো. মাহফুজ আলম: বাংলাদেশে ধান প্রধান ফসল হিসেবে পরিচিত এবং এর উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির …