বৃহস্পতিবার , নভেম্বর ২১ ২০২৪

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গড়তে হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি)-এর কাউন্সিল হলে মুজিববর্ষ ও মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে  বঙ্গবন্ধু  প্রকৌশলী পরিষদ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও মহান বিজয় দিবসের তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. এম হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী  মো. আবদুস সবুর। বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. নুরুজ্জামানসহ পরিষদের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ-এর নেতৃবৃন্দ আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদান করেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, “বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতীয়তা বোধের চেতনা থেকে বাঙালি জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবার একটাই পরিচয়, বাঙালি। বাঙালি জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধুকে অনেক লড়াই করতে হয়েছে। তিনি দূরদৃষ্টি দিয়ে বুঝেছিলেন বাঙালি জাতীয়তা বোধে উদ্বুদ্ধ করতে না পারলে বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্মে আনা সম্ভব নয়। আর  ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্মে আনতে না পারলে বাঙালির মুক্তি কোনদিন সম্ভব নয়। বাঙালি জাতিসত্তা, স্বাধিকার আন্দোলন এবং পরবর্তীতে স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে এসেছিলেন।”

তিনি আরো বলেন, “আমাদের পরিচয় আমরা বাঙালি।আমাদের আদর্শ বঙ্গবন্ধুর, আর নেতৃত্ব শেখ হাসিনার। আমাদের সৌভাগ্য বঙ্গবন্ধু না থাকলেও তার রক্ত ও আদর্শের উত্তরসূরি শেখ হাসিনা রয়েছেন। বাংলাদেশের উন্নয়নের আর্কিটেক্ট শেখ হাসিনা। তিনি গোটা জাতিকে নিয়ে ক্লান্তহীন এগিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে নিয়ে যাওয়ার কৃতিত্ব শেখ হাসিনা দেখাতে পেরেছেন”।

প্রধান অতিথি আরো বলেন, “বঙ্গবন্ধু, বাঙালি ও বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্য সত্তা। আর সমৃদ্ধ বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুকে বলা হতো শোষিতের কন্ঠস্বর। আর এখন শেখ হাসিনাকে বলা হয় বিশ্বের দুর্গতদের কণ্ঠস্বর”।

তিনি আরো যোগ করেন, “শেখ হাসিনা কারণেই আজ বাংলাদেশের আকাশে বিজয়ের পতাকা সগৌরবে পতপত করে উড়ছে। যুদ্ধাপরাধীদের দম্ভ দেখতে হচ্ছে না। মনে রাখতে হবে স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনও দেশ থেকে নিঃশেষ হয়ে যায়নি। তাদের উত্তর প্রজন্ম এখনও দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। এ জন্য সতর্ক থাকতে হবে, বিজয়ের পতাকা যেন শকুনরা আবার ছিনিয়ে নিতে না পারে। অবিরাম লড়াইয়ের ভেতর থেকে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের ঐক্যের ইস্পাতকঠিন দৃঢ়তা সৃষ্টি এখন সময়ের দাবি”।

This post has already been read 3862 times!

Check Also

ভেটেরিনারি ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ভ্যাব) এর বিক্ষোভ সমাবেশ

ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী আওয়ামলীগের বিদায়ের তিন মাস অতিক্রান্ত হলেও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে …