বুধবার , ডিসেম্বর ১৮ ২০২৪

নাটোরে কেজিপ্রতি গরুর মাংসের দামে এক মণ রসুন

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার লক্ষ্মীকোল বাজার। এখানে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকায়। আর এখানকার কৃষকরা প্রতি মণ রসুন বিক্রি করেছেন ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা।

চলতি মৌসুমে ভালো ফলন পেলেও ন্যায্য দাম পাননি বড়াইগ্রাম উপজেলার রসুন চাষিরা। অনেক পরিশ্রমের ফসল রসুন বিক্রি করে খরচের টাকাই উঠছে না তাদের। দাম না থাকায় তাই এক কেজি গরুর মাংস কিনতে এক মণ রসুন বেচতে হচ্ছে।

উপজেলার বড়াইগ্রাম ইউনিয়নের দুকুল গ্রামের কৃষক দেলোয়ার হোসেন আরটিভি নিউজকে বলেন, চলতি মৌসুমে রসুনের দাম একেবারেই কম। ভালো মানের রসুন ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা দরে বিক্রি হলেও অধিকাংশ রসুন ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে। এতে কৃষকের উৎপাদন খরচই উঠছে না। অথচ চায়না থেকে আমদানি করা রসুন চার হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। এ অবস্থা হলে কৃষক বাঁচবে না।

ভজিদপুর গ্রামের কৃষক হাসানুল বান্না উজ্জ্বল আরটিভি নিউজকে বলেন, একসময় প্রতি মণ রসুন আট হাজার টাকা দরে বিক্রি করেছি। তখন প্রতি হাটেই রসুন বেচে মাংস কিনে মনের আনন্দে বাড়ি ফিরতাম। তখন দুই-আড়াই কেজি রসুনের দামেই এক কেজি মাংস কেনা যেত। অথচ এখন এক কেজি মাংস কিনতে এক মণ রসুন বেচতে হচ্ছে। এ অবস্থার পরিবর্তন না হলে কৃষক সর্বস্বান্ত হয়ে যাবে।

এক মণ রসুন নিয়ে হাটে এসেছেন আব্দুল মালেক নামে এক কৃষক। বাড়িতে মেয়ে আর নাতিরা এসেছে। রসুন বিক্রি করে মাংস কিনে বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু বাজারে রসুনের দাম দেখে তিনি হতাশ। কেননা এক মণ রসুনের দাম এক কেজি মাংসের সমান।

সূত্র: আরটিভি অনলাইন:

This post has already been read 4090 times!

Check Also

কলাপাড়ায় পাটজাতীয় ফসলের আঁশ ও বীজ উৎপাদন বিষয়ক কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিজেআরআই উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল পাট ও পাটজাতীয় ফসলের আঁশ …