নিজস্ব প্রতিবেদক: মৎস্য অধিদপ্তর -এর মহাপরিচালক খন্দকার মাহবুবুল হক বলেছেন, দেশের মৎস্য সেক্টর ও চাষিদের উন্নয়নে বাপকা (Bangladesh Aqu Products Companies Association) কে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা করবে মৎস্য অধিদপ্তর। ‘দেশের চাষিরা বেঁচে থাকলে শিল্প বেঁচে থাকবে, তাই তাদের জীবনমান উন্নয়নে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে’ যোগ করেন তিনি।
সোমবার (১০ জানুয়ারি) বাপকা (BAPCA) প্রতিনিধিদল সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে এসব মন্তব্য করেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার মাহবুবুল হক। এসব উপস্থিত ছিলেন বাপকা সভাপতি ইয়াহিয়া সোহেল, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, সহ-সভাপতি জুবায়ের আবদুল্লাহ জামান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনিরুল হক খান, নির্বাহী সদস্য মো. জামিল হোসেন, সনাতন ঘোষ ও মনছুর আলম দীপু। এ সময় প্রতিনিধি দল নবনিযুক্ত মহাপরিচালককে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলোতে ফিড কোম্পানীগুলো সাধারণত ফিড, পোনা থেকে শুরু করে সবকিছু মৎস্য চাষিদের সরবরাহ করে এবং উৎপাদিত মাছ আবার চাষিদের কাছ থেকে কোম্পানিগুলো কিনে নেয়, এতে করে চাষিদের কোন লোকসানের সম্মুখীন হতে হয় না; এবং বিশ্বব্যাপী মৎস্য চাষে এটাই সিস্টেম। অথচ এদেশে ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে অনেক চাষিদেরকে পুকুর ফেলে পালিয়ে বেড়াতে হয়। এটি আমাদের দেশের জন্য সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক বিষয়।
বাপকা সম্পাদক মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, আমাদের দেশে বর্তমানে চাহিদার তুলনায় মাছের উৎপাদন বেশি। যেখানে আমাদের বার্ষিক মাছের চাহিদা ৪১-৪২ লাখ টন সেখানে উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ৪৫ লাখ টন। ফলে চাষিরা ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটাতে গেলে চাষিদের স্বার্থে আমাদের মৎস্য রপ্তানির দিকে জোর দিতে হবে। তবে, আমাদের উৎপাদন খরচ বেশি হওয়াতে আন্তর্জাতিক বাজারে মাছের দর প্রতিযোগিতায় আমাদের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
খন্দকার মাহবুবুল হক এ সময় বাপকা প্রতিনিধিদলের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেন এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন। মহাপরিচালকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে একই অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আতিয়ার রহমান -এর সাথে দেখা করে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বাপকা প্রতিনিধিদল।