নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদনের অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে, কিন্তু রপ্তানি ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে ,বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপির। মন্ত্রী বলেন, দেশের আম, আনারস, কলা, টমেটো, আলু ও শাকসবজি প্রভৃতি রপ্তানি ও প্রক্রিয়াজাতকরণের সম্ভাবনা অনেক। এক্ষেত্রে ডেনমার্কের বিনিয়োগ ও উন্নত প্রযুক্তিগত সহযোগিতা প্রয়োজন। উত্তম কৃষিচর্চা (জিএপি) মেনে খাদ্য উৎপাদনেও ডেনমার্কের সহযোগিতা দরকার। এছাড়া, পূর্বাচলের ২ একর জমিতে আধুনিক প্যাকিং হাউজ নির্মাণ ও আধুনিক টেস্টিং ল্যাব স্থাপনে ডেনমার্কের সহযোগিতা কামনা করেন মন্ত্রী।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) বিকালে ঢাকায় নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এস্ট্রাপ পিটারসেন সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপির সাথে সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী। “কৃষিপণ্য ও খাদ্যের গুণগতমান উন্নয়নে এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা প্রদান করবে ডেনমার্ক। কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণে বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিষয়েও উদ্যোগ নিবে ডেনমার্ক“ এ সময় জানান রাষ্ট্রদূত।
ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এস্ট্রাপ পিটারসেন কৃষিখাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের কৃষিপণ্যের গুণগতমান উন্নয়নে ও এগ্রিবিজনেসে ডেনমার্ক সহযোগিতা করবে। কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি হলে ডেনমার্কের বিনিয়োগ ও ট্রেড মিশন পাঠানোর বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
সাক্ষাৎকালে দুই দেশের কৃষিখাত, ডেইরি, নিরাপদ খাবার, খাদ্য অপচয় কমানো, ফুড ভ্যালু চেইন ও ল্যাব উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া, কৃষিখাতে সহযোগিতার ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের ব্যাপারেও দুই দেশ সম্মত হয়।
সাক্ষাৎকালে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: সায়েদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব মো: রুহুল আমিন তালুকদার, উপসচিব এসএম ইমরুল হাসান, ডেনমার্কের ঢাকা দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর আলি মুস্তাক বাট উপস্থিত ছিলেন।