বুধবার , ডিসেম্বর ১৮ ২০২৪

আন্তর্জাতিক মানের খাবার তৈরি করুন -খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষায় মাঝে মাঝে সরকার ব্যবসায়ীদের প্রতি কঠোর হয়। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাদের জেল-জরিমানা করে। যারা অন্যায় করে তাদের শাস্তি হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রকৃত পক্ষে সরকার ব্যবসায়ীদের প্রতিপক্ষ নয়, বরং বন্ধু।

গতকাল বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে খাদ্য নিরাপত্তার উন্নয়নে সেক্টর লিডার ও সিইও কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে দেশের খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়ায়করণ ও খাদ্য ব্যবসায় নিযুক্ত প্রায় ২০টি প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং তাদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে নাগরিকদের নিরাপদ ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার পৌঁছে দিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। এ সেক্টরে যে সকল প্রতিষ্ঠান কাজ করছেন তারা আমাদের লক্ষ্য অর্জণের অন্যতম হাতিয়ার। এসময় তিনি মান সম্পন্ন খাদ্যপণ্য তৈরি করে দেশের ভোক্তাদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে এদেশের খাদ্য পণ্য পৌঁছে দিতে খাদ্যপণ্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, আপনারা আন্তর্জাতিক মানের খাবার তৈরি করুন। যেন বিদেশ থেকে আনতে না আনতে হয়। উল্টো আমরা বিদেশি বাজারে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পারি।

সাধন চন্দ্র মজুমদার আরও বলেন, তৈরি পোষাকের পরে রপ্তানির সবচেয়ে বড় খাত হতে পারে এটি। এ খাত কৃষি খাতকে সমৃদ্ধ করেছে। এ জন্য করোনার মধ্যে কৃষক নিয়ে আমাদের চিন্তা করতে হয়নি। দেশে খাদ্যমান পরীক্ষার জন্য সরকার ইতোমধ্যে ৮ বিভাগে ল্যাবরেটরি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া ৮ টি মোবাইল ভ্যান ল্যাব ও জাইকার সাথে আন্তর্জাতিকমানের টেস্টিং ল্যাব স্থাপণের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। কার্যক্রমগুলো সম্পন্ন হলে দেশের খাদ্যপণ্যের বিজ্ঞান ভিত্তিক মান যাচাই করা সম্ভব হবে।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো: আব্দুল কাইউম সরকার এর সভাপতিত্বে খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম এবং এফবিসিসিআই এর সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।

খাদ্য সচিব বলেন, শুধু ভোক্তার সচেতনতা নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে পারবে না। ফুড প্রসেসিং চেইনে যুক্ত সকলকে এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। আমরা উন্নত দেশের নাগরিক হতে যাচ্ছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন আমাদের যা খুশি তা খাওয়ানো যাবে না। যারা অসচেতন ভাবে অনিরাপদ খাবার তৈরি ও বাজারজাত করছেন আমরা তাদের সচেতন করার চেষ্টা করছি।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, সরকারের সহযোগী হিসেবে দেশের উন্নয়নে ব্যবসায়ীগণ কাজ করছেন। তিনি নিরাপদ খাদ্য ভোক্তার কাছে পৌঁছে দিতে খাদ্যপণ্য ব্যবসায়ীদের সচেষ্ট হওয়ার তাগিদ দিয়ে বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয় আন্তর্জাতিক বাজারও খুঁজতে হবে,আর পণ্যের গুণগত মান না বাড়ালে প্রতিযোগিতায় পছিয়ে পড়তে হবে। এছাড়া তিনি বিএসটিআই, সিটি কর্পোরেশন ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে একটি অভিন্ন আইনের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত লোকবল দ্বারা মোবাইল কোর্ট পরিচালনার অনুরোধ জানান।

This post has already been read 4445 times!

Check Also

এন্টিবায়োটিক ব্যবহারে ধ্বংস হচ্ছে উপকারী ব্যাকটেরিয়া -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, মানবদেহে ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে অনেক সময় …