রংপুর : খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। ক্ষুধা মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে আমাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোনক্রমেই চালের বাজার অস্থিতিশীল করতে দেওয়া হবে না। যারা ভাবছেন চাল ধরে রেখে বেশি মুনাফা করবেন তা হতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজন হলে চাল আমদানি করা হবে। আমাদের ফাইল রেডি আছে।
আজ মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রংপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ‘অবৈধ মজুতদারি রোধে করণীয় ও বাজার তদারকি সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায়’ ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
মিল মালিক ও ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, গত বছর আম্ফানে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল তখন চালের দাম বাড়েনি। অথচ ভালো ফলন এবং আমনের ভরা মৌসুমে দাম বাড়ছে। আজ থেকে চালের দাম যেন না বাড়ে তা নিশ্চিত করতে আপনাদের ভূমিকা দেখতে চাই। শুধু মুনাফার উদ্দেশ্যে ব্যবসা না করে ভোক্তাদের স্বস্তি দিন।
খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ফুড গ্রেইন লাইসেন্স নিয়ে কেউ ধান চাল মজুদ করে রাখছেন কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। মিল মালিকরা কি পরিমান ধান কিনছেন, স্টক করছেন এবং ক্রাসিং করছেন তার হিসাব রাখত হবে। মন্ত্রণালয়কে তা অবহিত করতে হবে। গাফিলতি প্রতীয়মান হলে কঠোর ব্যবস্থা নেব।
কৃষক ধান মজুত করেন না। মিল মালিকগণ জানেন কারা ধান মজুত করেন। কারণ, মজুত করা ধান মিল মালিকরাই কিনেন। মিল মালিকরা আমাদের প্রতিপক্ষ নয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তাদের দোষ দিতে চাইনা, তবে তারা যদি বেশি লাভের চিন্তা করেন তাহলে দেশের মানুষকে বাঁচানো যাবে না। এ সময় তিনি চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা চান।
মিল মালিকদের পক্ষে আব্দুল হান্নান বলেন, দেশে চিকন চালের চাহিদা বেশি। এ চালের দাম কমানো যাবেনা। কারণ, পার্শবর্তী দেশেও চিকন চালের দাম বেশি। এ সময় বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরবারহ বাড়াতে চাল আমদানির অনুরোধ জানান।
রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল ওয়াহব ভূঞা এর সভাপতিত্বে , খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোসাম্মৎ নাজমানারা খানুম,খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক মো: সাখাওয়াত হোসেন, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য ,রংপুরের জেলা প্রসাশক মো: আসিব আহসান, পুলিশ সুপার মো. ফেরদৌস আলী চৌধুরী এবং আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক রংপুর আব্দুস সালাম বক্তব্য রাখেন।
মতবিনিময় সভায় রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসক,খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা,কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা, মিল মালিক, ব্যবসায়ী ও গণমাধ্যম প্রতিনিধি অংশ নেন।