মো. খোরশেদ আলম জুয়েল: শুধুমাত্র উৎপাদন দিয়ে কোন পণ্যের বিক্রয় নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো সম্ভব না। গুণগতমানের পণ্য, দক্ষ জনবল, আন্তরিকতা ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমেই সেটি অর্জন করা সম্ভব। ‘আস্থা ফিড’ এবং এর সাথে জড়িত প্রত্যেকের উল্লেখিত গুণগুলো আছে বলেই মাত্র ১৭ মাসের ব্যবধানে মাসিক ফিড বিক্রয় ১০ হাজার মে. টন অতিক্রম করা সম্ভব হয়েছে। শুধু তাই নয়, এটি প্রমাণিত সত্য যে- আস্থা ফিডের প্রতি দেশের খামারি তথা মানুষের আস্থা, বিশ্বাস ও চাহিদার জায়গা তৈরি হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) দেশের ফিড সেক্টরে নতুন কিন্তু অতি অল্প সময়ে সুপরিচিত কোম্পানি আস্থা ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড আয়োজিত ‘Celebration of 10,000 MT Feed Sales’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তারা এসব কথা বলেন। সকাল দশটায় কোম্পানিটির রাজধানীর উত্তরাস্থ কর্পোরেট অফিসে “অবিরাম অগ্রযাত্রায় সীমাহীন স্বপ্নের দিকে’ স্লোগানে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। কোম্পানির কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন এর কণ্ঠে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (উৎপাদন) ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক, প্রিমিয়ার ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড ব্র্যাঞ্চ ম্যানেজার (দিলকুশা শাখা) আবদুল বাতিন চৌধুরী, এনআরবিসি ব্যাংক (গুলশান শাখা)-এর এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড হেড অব ব্র্যাঞ্চ একেএম রবিউল ইসলাম, আহকাব সভাপতি ডা. মো. নজরুল ইসলাম, আস্থা ফিড -এর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গিয়াস উদ্দিন খাঁন, প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) এম.এ. মালেক, কনসালট্যান্ট ডা. মো. আফাজুর রহমান (রুবেল) প্রমুখ।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (উৎপাদন) ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক বলেন, আমাদের ব্রয়লার ফিড নিয়ে অহেতুক নানা কথা আছে, এমনকি সমাজের অনেক দায়িত্ববান লোকও ব্রয়লার মুরগি নিয়ে আজেবাজে কথা ও গুজব ছড়ায়। তাদের কথা শুনে মনে হবে যেনতেন কিছু দিয়ে হয়তো পোলট্রির খাবার (ফিড) তৈরি হয়, তাই এসব অপপ্রচার রোধে জায়গাগুলোতে প্রচারনা দরকার। আমাদের বুঝতে হবে, দেশের প্রান্তিক মানুষের পুষ্টি নিরাপত্তায় সেক্টরটি একটি ভ্যালু এড করেছে।
তিনি বলেন, ব্যাংক যে বিনিয়োগ করেছে এবং টাকা ফেরত আসছে, তারচেয়ে বড় কথা ব্যাংকের ব্যবসা বা সেবাটি কোথায় চলে গেছে সেটি ভাবার বিষয়। ‘আস্থা’র যে জায়গাটি সেটিতো এমনি এমনিই চলছে না; নিশ্চয়ই সেখানে একটি বিশাল জায়গা তৈরি হয়েছে, এবং সে জায়গাটি শেষ পর্যন্ত প্রান্তিক মানুষের নিউট্রিশনে ভ্যালু এড তৈরি করেছে।
ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক বলেন, ব্যাক্তিগতভাবে আমি সুব্যবসা বান্ধব লোক, যারা অহেতুক জটিলতা, অস্বচ্ছতা এবং সমস্যা তৈরি করে আমি তাদের ক্ষেত্রে খুব সাহসী এবংমন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে আমাকে খুব ভালো এড্রেস করে। দিনশেষে মানুষের কাছে কিন্তু সেবাটি পৌঁছায় ,তাই ব্যবসায় অহেতুক জটিলতা তৈরি করে লাভ নেই। ব্যবসাকে নিয়ন্ত্রণ করা মানে এটিকে সংকুচিত করা নয়, সুপথে রাখা। যাতে খারাপ ব্যবসায়ী থেকে ভালো ব্যবসায়ীরা সুরক্ষিত থাকে। এক্ষেত্রে সরকারের দায়বদ্ধতা অনেক বেশি।
তিনি আরো বলেন, আমরা যে মাংস ও ডিম খাবো সেটি যেন অধিক নিরাপদ হয়। সরকার এটি খুব চায় -মানুষ নির্বিঘ্নে আমাদের এসব পণ্য খাবেন। শুধু পরিমান দিয়ে নয়, মানের দিক দিয়ে আমাদের উন্নত হতে হবে। একটি দেশ কতটুকু উন্নত সেটি বুঝা যায় সে দেশের প্রাণিসম্পদের উন্নয়ন দেখে, তাই আমাদের শুধু দেশ উন্নত হয়ে গেছে ভাবলে হবে না, প্রাণিসম্পদ সেক্টরকে আরো উন্নতির পথে নিয়ে যেতে হবে। জাতিসংঘ নির্ধারিত ২০৪১ সনের মধ্যে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে প্রাণিসম্পদ খাতকে পরিমান ও মান দিয়ে আরো বেশি উন্নত করতে হবে।
আস্থা ফিড -এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চেয়ারম্যানের আচার, ব্যবহার ও ব্যবসায়িক স্বচ্ছতার ভূয়সি প্রশংসা করে ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক বলেন, আস্থা ফিড শুধু বিক্রয়ের পরিমানের দিক থেকেই নাম্বার ওয়ান নয়, গুণগত মানের দিকেও এক নাম্বারে থাকার চেষ্টা করবে সে প্রত্যাশা থাকবে।
প্রিমিয়ার ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড ব্র্যাঞ্চ ম্যানেজার আবদুল বাতিন চৌধুরী বলেন, একটি কোম্পানি তার নামেই পরিচয়। ’আস্থা’ বাংলায় একটি সুন্দর শব্দ অর্থাৎ কারো ওপর বিশ্বাস রাখা। সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও বাজারে চাহিদা ছাড়া এত অল্প সময়ে অর্থাৎ মাত্র ১৭ মাসে, ভাড়াভিত্তিক ফ্যাক্টরি থেকে তৈরি ফিডের মাসিক বিক্রি ১০ হাজার মে.টন অতিক্রম করা সম্ভব ছিল না। খামারিদের কাছে আস্থা ফিডের চাহিদা আছে বলেই এটির উৎপাদন ও বিক্রয় বাড়ছে এবং আশা করি আরো বাড়বে।
“আমার বিশ্বাস- আস্থা নিজস্ব ফ্যাক্টরি থেকে যখন ফিড উৎপাদন করবে তখন সেটি ৩০-৪০ হাজার মে. টন ছাড়িয়ে যাওয়া অসম্ভব হবে না। আমরা ব্যাংক হচ্ছি উনাদের ফিন্যান্সিয়াল পার্টনার। তারা একটি কাজ নিয়ে গেলে আমরা চেষ্টা করি কত দ্রুত সম্ভব সেটি সম্পন্ন করা যায়। আস্থা দিন দিন আরো এগিয়ে যাবে, এটিই আমাদের বিশ্বাস” যোগ করেন আবদুল বাতিন চৌধুরী।
এনআরবিসি ব্যাংক -এর এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড হেড অব ব্র্যাঞ্চ (গুলশান) একেএম রবিউল ইসলাম বলেন, আস্থার এমডি এবং চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে প্রথম পরিচয়েই আমরা বুঝতে পেরেছিলাম উনাদের ভেতর একটি সম্ভাবনা ও স্বচ্ছতার জায়গা আছে। সে আস্থার ওপর ভিত্তি করেই আমাদের পথ চলা শুরু। তবে শুধু আমাদের আস্থা রাখলেই চলবে না, যারা এটির সর্বশেষ ভোক্তা তাদের কাছে যেন ‘আস্থা’ আস্থার জায়গা তৈরি করতে পারে সে প্রচেষ্টা থাকতে হবে।
তিনি বলেন, যে কাঁচামাল থাকলেই উৎপাদন করা সম্ভব, কিন্তু সেই উৎপাদিত পণ্যটা বিক্রি করাটাই আসল চ্যালেঞ্জ। মার্কেটিং পিপল শক্তিশালী থাকলে, সেই শক্তি দিয়ে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব এবং এই শক্তিটিই আসল শক্তি। যদি মার্কেটিং শক্তিশালী না থাকে তাহলে কিন্তু এই প্রোডাকশন করেও লাভ হবে না। আমি মনে করি, মার্কেটিং শক্তিশালী আছে বলেই আজকের এ পর্যায়ে পৌঁছাতে পেরেছে।
তিনি উল্লেখ করেন, দেশের শীর্ষ দশটি যে ফিড কোম্পানি রয়েছে তাদের বিক্রয়ের পরিমান থেকে আস্থা’র গ্যাপ এখনো অনেক বেশি আছে। কিন্তু এই গ্যাপ অতিক্রম করা অবশ্যই সম্ভব যদি আস্থা টিম গবেষণা ও উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনার মাধ্যমে নিত্য নতুন ইনোভেটিভ কিছু করতে পারে।
আহকাব সভাপতি ডা. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আস্থা ফিডের অগ্রযাত্রার সময়টি খুবই কম সময়ের। মুরগি, মাছ ও পশুখাদ্যে যেসব খাদ্য বা ফিড ব্যবহার হচ্ছে সেটি নিরাপদ খাদ্য যেটি ফুড চেইনে আসছে সেটি সুস্থ্য ও মেধাবী জাতি গঠনে অবদান রাখবে। এ সময় তিনি চলমান অতিমারিতেও মাত্র ১৭ মাসের ব্যবধানে মাসিক ফিড বিক্রয় ১০ হাজার মে. টন অতিক্রম করায় আহকাব এর পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান।
আস্থা ফিড -এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গিয়াস উদ্দিন খাঁন বলেন, আস্থা ফিডের এত অল্প সময়ে বর্তমান অবস্থানে পৌঁছানের জন্য প্রতিষ্ঠানের একজন পিয়ন থেকে শুরু করে প্রতিটি কর্মকর্তা কর্মচারি, এমডি, চেয়ারম্যান কারো অবদানই কোন অংশে কম নয়। প্রত্যেকের সমন্বিত প্রচেষ্টা ও পরিশ্রমের ফলেই আমাদের আজকের এই অর্জন।
তিনি আরো বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা ছাড়া যে কোন প্রতিষ্ঠানের এগিয়ে যাওয়া অসম্ভব। তেমন কোন পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়া হঠাৎ আয়োজিত অনুষ্ঠানে, ব্যাংকারদের সকাল সকাল উপস্থিত হওয়া আস্থা’র প্রতি আস্থা ও আন্তরিকতার বহিঃপ্রকাশ। উপস্থিত অতিথিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানানো ছাড়াও নারায়ণগঞ্জে নির্মিত আস্থা ফিডের প্লাণ্ট দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক সাইফুল ইসলাম (বাবু) -এর অক্লান্ত পরিশ্রম ও আন্তরিকতার ভূয়সী প্রশংসা করেন এ সময় তিনি।
আস্থা ফিড -এর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন চৌধুরী বলেন, এত অল্প সময়ের মধ্যে আস্থা ফিডের এই সফলতা একমাত্র সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র কোয়ালিটির জন্য। কোয়ালিটি অব মাই পিপল, কোয়ালিটি অব মাই প্রোডাক্ট, কোয়ালিটি অব মাই কমিটমেন্ট এবং কোয়ালিটি অব কনসিস্ট্যান্সী -এই সকল কোয়ালিটির সমন্বয়েই কিন্তু আজকের এই সফলতা। এগুলো না থাকলে মাত্র ১৭ মাসে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন চাট্টিখানি কথা ছিল না। এখানে যারা আছেন তারা সবাই জানেন, এই অবস্থায় আসতে আমাদের কতটুকু সাধনা করতে হয়েছে এবং এই সাধনা অব্যাহত থাকবে ইনশাল্লাহ। এ সময় তিনি সাধনার এই পথচলায় সবার সম্মিলিত সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেন।
আস্থা ফিড -এর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) এম.এ. মালেক বলেন, বর্তমান প্যানডেমিক সিচুয়েশন থাকা সত্ত্বেও এত অল্প সময়ে মাত্র সতেরো মাসে শুধুমাত্র পোলট্রি ফিড দিয়ে উল্লেখিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন বাংলাদেশে এটিই প্রথম। কারণ, এ সেক্টরে ২৬ বছরের কর্মজীবনে কেউ এই সময়ে ৫ হাজার মে. টন অতিক্রম করেছে বলে আমার জানা নেই। ভাড়াভিত্তিক ৫টি মিডমিল থেকে উৎপাদন করে মাত্র ২২টি জেলায় কাজ করে আমাদের আজকের এই অর্জন। আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতার পরেও টিম মেম্বারদের কঠোর পরিশ্রম, ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, গুণগত মান এবং আস্থার ফিডের প্রতি মানুষ আস্থা রেখেছেন বলেই এটি সম্ভব হয়েছে।
আস্থা ফিড -এর কনসালট্যান্ট ডা. মো. আফাজুর রহমান (রুবেল) বলেন, আস্থা ফিডের সাথে থাকতে পেরে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি। কারণ এখানকার ব্যবস্থাপনা পরিচালক চেয়ারম্যান খুবই আন্তরিক। এখানে তারা আমাকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন, যখন যেটির জন্য যা প্রয়োজন সেটি তারা আমাকে দিয়েছেন। ফলে একটি ভালো ফিড ফর্মুলেশন ও সেটিকে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। আস্থা ফিডের প্রোডাকশন, পারচেজ, আরঅ্যান্ডডি এবং মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট খুবই শক্তিশালী বলে উল্লেখ করেন এ সময় তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রিমিয়ার ব্যাংকের অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট (ক্রেডিট ইন চার্জ) জারিফ আহমেদ আসিফুল হুদা, এস.এ.ভি.পি (ফরেন এক্সচেঞ্জ) আবদুল্লাহ আল মামুন, ব্র্যাক ব্যাংকের এরিয়া হেড অ্যান্ড ব্র্যাঞ্চ ম্যানেজার (উত্তরা সোনারগাঁও জনপথ) সৈয়দা মাহজাবীন, আস্থা ফিড -এর পরিচালক সাইফুল ইসলাম (বাবু), পরিচালক মো. সালাউদ্দিন ইমন, জেনারেল ম্যানেজার (ফাইন্যান্স) শিশির কুমার নাথ, ইব্রাতাস ট্রেডিং জেনারেল ম্যানেজার (মার্কেটিং) আরিফুল ইসলাম সুমন, জেনারেল ম্যানেজার (প্রকিউরমেন্ট) আহসানুর রহমান, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (প্রোডাকশন) মো. হুমায়ূন কবির রতন প্রমুখ ছাড়াও আর্স্থা ফিড ও ইব্রাতাস ট্রেডিং -এর সকল কর্মকর্তাবৃন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠানটিতে সঞ্চালকের ভূমিকা পালন করেন আস্থা ফিড -এর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) এম.এ. মালেক।
উল্লেখ্য, “আস্থায় তৃপ্তি, আস্থায় বৃদ্ধি” স্লোগান নিয়ে মাত্র ১৭ মাস আগে ভাড়াভিত্তিক ফিড মিল দিয়ে আস্থা ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড -এর যাত্রা শুরু। ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত তাদের নিজস্ব ফিডমিল খুব শীঘ্রই উদ্বোধন হবে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।