রাজেকুল ইসলাম, রাণীনগর(নওগাঁ) : সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসিনতার কারণে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা সদরের একমাত্র কেন্দ্রীয় কালিবাড়ি হাটে জরাজির্ন ও ঝুঁকিপূর্ন শেডে চলছে নিত্যদিনের মাছের বাজার। যে কোন সময় শেড ভেঙ্গে ঘটতে পারে বড়ধরনের দুর্ঘটনা এমনটাই আশঙ্কা করছেন স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা।
জানাগেছে,বাজারে মাছ কিনতে আসা ক্রেতা আব্দুল হালিম বলেন দেশের সবকিছুতে আধুনিকতা ও উন্নয়নের ছোঁয়া স্পর্শ করলেও এমন জনগুরুত্বপূর্ন স্থাপনায় বছরের পর বছর পার হলেও কোন কিছুই স্পর্শ করে না। অথচ সরকার প্রতিবছর এই হাট থেকে কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করছে কিন্তু সে তুলনায় পুরো হাটসহ বিশেষ করে মাছ বাজারের কোনই উন্নয়ন নেই। চলাচলের জন্য ভালো রাস্তা নেই, একমাত্র শেডটির অবস্থা অত্যন্ত নাজুক, বর্ষা মৌসুমে মাছ বাজারের নিচু রাস্তায় হাটু পানি জমে, নেই ড্রেনেজ ব্যবস্থা। একটি উন্নয়নশীল দেশের জন্য এমন বেহাল অবস্থা কখনই কাম্য নয়।
স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী বাবলু সরদার বলেন উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কেন্দ্রীয় হাট হচ্ছে এই কালীবাড়ি হাট। হাটের অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হচ্ছে মাছ বাজার। প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু হয় মাছ বিক্রির কার্যক্রম। প্রতিদিন রাণীনগর উপজেলাসহ আশেপাশের শত শত জেলেরা এই বাজারে মাছ নিয়ে আসেন খুচরা বিক্রির জন্য। সরকার প্রতি বছর এই হাটের নিলাম থেকে প্রায় কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করলেও পুরো হাটসহ মাছ বাজারে এখনোও আধুনিকতার কোন ছোঁয়াই স্পর্শ করেনি। দীর্ঘদিন কোন সংস্কার না করায় মাছ বাজারের একমাত্র শেডটি বর্তমানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা জেলেরা মাছ বিক্রি করতে এসে সব সময় ভয়ে ভয়ে থাকি কখন যেন শেডটি মাথার উপর ভেঙ্গে পড়ে।
আরেক মাছ ব্যবসায়ী আকবর আলী বলেন আমাদের প্রতিদিন এই হাটে মাছ বিক্রি করতে এলেই খাজনা দিতে হয়। অথচ মাছ বাজারের কোনই উন্নয়ন নেই। গত ত্বত্তাবধায়ক সরকারের সময় পুরো হাটসহ মাছ বাজারের শেডের কিছুটা সংস্কার করা হলেও তারপর আর কেউ দৃষ্টি দেয়নি। মাছ বাজারটির সীমানা নির্ধারন করে আরেকটু এলাকা বৃদ্ধি করে যদি আধুনিক মানের মাছ বাজার নির্মাণ করা হয় তাহলে ক্রেতাদের জন্য যেমন উপকার হবে তেমনি ভাবে আরো অনেক জেলেরা বাজারে মাছ বিক্রি করতে পারবেন আর সরকারের রাজস্বও বৃদ্ধি হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন মাছ বাজারটি পরিদর্শন করে পরবর্তি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।