ফকির শহিদুল ইসলাম (খুলনা) : গোলপাতার চাহিদা কমে যাওয়ায় এমনিতেই আগ্রহ হারাচ্ছে বাওয়ালীরা। গত বছরের সব গোলপাতা এখনও বিক্রি করতে পারিনি অনেকেই। এ খাতে রাজস্ব প্রায় আড়াইগুন বৃদ্ধিতে গোলপাতা আহরণে পরবর্তী বছর বাওয়ালী পাওয়া নিয়ে চরম শঙ্কা রয়েছে : বনজীবী ফেডারেশনের সভাপতি মীর কামরুজ্জামান বাচ্চু।
সুন্দরবন ভ্রমণে পর্যটকদের খরচ দ্বিগুণ বেড়েছে। বনজীবীদের রাজস্বও বেড়েছে সমহারে। গোলপাতায়-কাঁকড়ার রাজস্ব বেড়েছে প্রায় আড়াই গুণ। ভ্রমণ মৌসুমের শেষ সময়ে এসে বনবিভাগের এই সিদ্ধান্তে চরম ক্ষতির সম্মূখীন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিধ্বস্ত ঊপকূলীয় বনজীবীরা জীবীকা নিয়ে পড়েছেন চরম শঙ্কায়।
পর্যটন ব্যবসায়ীদের শঙ্কা, সরকার পর্যটনে বিকাশের কথা বললেও হঠাৎ করে এই রাজস্ব বাড়ানোয় নতুন করে ক্ষতির মুখে পড়বে সুন্দরবনের পর্যটন শিল্প। এর ফলে সুন্দরবনের প্যাকেজ ভ্রমণের খরচ অনেক বেড়ে যাবে। এছাড়া পূর্বের খরচ অনুযায়ী অগ্রিম বুকিং নেওয়া পর্যটন ব্যবসায়ীদের পড়তে হবে চরম বিপাকে । পর্যটন মৌসুমের মাঝপথে বন বিভাগ রাজস্ব বাড়িয়ে দেওয়ায় ২৭ ফেব্রুয়ারি খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছে ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবন (টোয়াস)। তারা বলছেন, এতে পর্যটন শিল্পের বিকাশ বাধাগ্রস্ত এবং ট্যুর অপারেটররা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এর আগে পুনঃবিবেচনার জন্য সংগঠনটির পক্ষ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি বনবিভাগের কাছে লিখিত আবেদন করা হয়।
ট্যুর অপারেটর অ্যাসেসিয়েশন অফ সুন্দরবনের (টোয়াস) সাধারণ সম্পাদক ও রূপান্তর ইকোট্যুরিজমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল আজম ডেভিড জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে ট্যুর অপারেটররা গত ২ বছর ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এবছর পর্যটন মৌসুম শুরু হওয়ার কিছুদিন পর হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় তারা ফের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এখন আবার বন বিভাগ রাজস্ব বৃদ্ধি করায় চরম বিপাকে পড়েছেন তারা।