চট্টগ্রাম: মেরিন ফিশারিজ একাডেমির ক্যাডেটরা দেশের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
রবিবার (০৬ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রামের মেরিন ফিশারিজ একাডেমি মিলনায়তনে একাডেমির ৪১তম ব্যাচের ক্যাডেটদের মুজিববর্ষের পাসিং আউট ২০২১ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সনদপত্র প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, “মেরিন ফিশারিজ একাডেমির ক্যাডেটদের চোখে দীপ্তিময় ভবিষ্যত্বের তৃষ্ণার্ত আগ্রহ রয়েছে। তারা চায় সামনের দিকে এগিয়ে যেতে। উচ্চ পর্যায়ের জ্ঞান অর্জন করে ক্রমান্বয়ে তারা বাংলাদেশের দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত হবে। এ ক্যাডেটরা দেশে ও দেশের বাইরে মেরিটাইম সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। অদূর ভবিষ্যতে দেশের উন্নয়নের সুনীল অর্থনীতি হবে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। সুনীল অর্থনীতির সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচনে এ ক্যাডেটরা গুরু দায়িত্ব পালন করবে”।
মেরিন ফিশারিজ একাডেমির অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ওয়াসিম মকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও এস এম ফেরদৌস আলম, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. হেমায়েৎ হুসেন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ও মেরিন ফিশারিজ একাডেমির কর্মকর্তা ও প্রশিক্ষকবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, “বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মেরিন ফিশারিজ একাডেমির ক্যাডেটরা হবে আমাদের অ্যাম্বাসেডর। ক্যাডেটদের দক্ষতা, সততা, দেশপ্রেম বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করে তুলবে। উজ্জ্বল করে তুলবে লাল সবুজের পতাকাকে।
পাসড আউটকৃত ক্যাডেটদের অভিনন্দন জানিয়ে এসময় মন্ত্রী বলেন, “ক্যাডেটদের মধ্যে আমরা স্বপ্নের ভবিষ্যৎ খুঁজে পেতে চাই। তাদের সার্থকতার শীর্ষ স্থানে পৌঁছাতে হবে। নিজের ঐকান্তিক ইচ্ছা, নিরলস প্রচেষ্টা, গভীর মনোনিবেশ আর অধ্যবসায় থাকলে কোনো প্রতিকূলতা তাদের আটকাতে পারবে না। নিজ কর্মক্ষেত্রে আন্তরিকতা ও যোগ্যতা নিয়ে কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে সাফল্য যেন কখনো অধরা না থাকে। নিজের সুপ্ত প্রতিভা জাগ্রত করতে হবে, মেধার বিকাশ ঘটাতে হবে”।
পরে মন্ত্রী মেরিন ফিশারিজ একাডেমির ৪১ তম ব্যাচের নটিক্যাল বিভাগের ৩৩ জন, মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৩১ জন ও মেরিন ফিশারিজ বিভাগের ২০ জনসহ মোট ৮৪ জন ক্যাডেটের হাতে সনদপত্র তুলে দেন।