বুধবার , ডিসেম্বর ১৮ ২০২৪

বাংলাদেশের আবহাওয়া ভুট্টার জন্য খুবই ভালো -কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক :  দেশে বর্তমানে বার্ষিক ৫৭ লাখ টন ভূট্টা উৎপাদন হচ্ছে। বাংলাদেশের আবহাওয়া ভুট্টার জন্য খুবই ভালো। বাংলাদেশে ভুট্টা উৎপাদনের ক্ষেত্রে এফএও বড় ভূমিকা রেখেছে। আমি মনে করি আগামীতে, এফএও’র সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরো সম্প্রসারিত হবে।

আজ বুধবার (৯ মার্চ) সকালে সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপির সাথে বৈঠকে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মহাপরিচালক কিউ দোংয়ু (Qu Dongyu) এ কথা জানান। এছাড়া, তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়ন সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কৃষিখাতের উন্নয়নে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে কাজ করবে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। আগামী অক্টোবরে এফএও বিনিয়োগ সম্মেলনের আয়োজন করবে। সেখানে তারা অন্যান্য আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ও দাতা সংস্থাকে বাংলাদেশের কৃষিখাতের উন্নয়নে ও কৃষিখাদ্য ব্যবস্থার রপান্তর করতে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ করবে। এছাড়া, এফএও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিনিয়োগ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানাবে এবং তারা আশা করছে, প্রধানমন্ত্রী সেখানে যাবেন।

তিনি  বলেন, আমাদের কৃষিখাতের উন্নয়নে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ দরকার। আমরা বারিড পাইপ (ভূগর্ভস্থ লাইন) দিয়ে সেচব্যবস্থার উন্নয়ন করতে চাই। আমরা উপকূলীয় লবণাক্ত অঞ্চলে নতুন উদ্ভাবিত ফসলের জাতের সম্প্রসারণ করতে যাচ্ছি। পাহাড়ি এলাকায় উচ্চমূল্যের ফসলের চাষ আরো বাড়াতে চাই। এছাড়া, কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাত করে ভ্যালু অ্যাড ও রপ্তানি করতে চাই। এসব ক্ষেত্রে  বিনিয়োগ প্রয়োজন।

বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: সায়েদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব মো: রুহুল আমিন তালুকদার, এফএও’র সহকারী মহাপরিচালক জং-জিন কিম,বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট সিম্পসনসহ এফএওর ১০ সদস্যের প্রতিনিধিবৃন্দ  উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাৎশেষে কৃষিমন্ত্রী সাংবাদিকদের সাথে এ বিষয়ে মতবিনিময় করেন। তিনি বলেন, ঢাকায় এফএওর সম্মেলন চলছে, এ উপলক্ষে এফএওর ডিজি বাংলাদেশে এসেছেন। এফএও কৃষি উন্নয়নে আমাদের সহযোগিতা করে থাকে। তারা আমাদের কারিগরি সহায়তা দেয়। ডোনারদের সঙ্গে তারা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে। কীটনাশকের ক্ষতিকর দিকগুলো যাতে কমাতে পারি, সেই বিষয়ে বৈশ্বিক যে নিয়ম তা তৈরি করে এফএও।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্যের উপর পড়বে কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব দেশে দ্রব্যমূল্যের উপর কিছুটা পড়েছে। তবে আমাদের নিকট এখন খাদ্যশস্যের সর্বোচ্চ মজুত আছে। ফসলের উৎপাদনও ভাল। এছাড়া, এপ্রিলের ১৫ তারিখ থেকেই নতুন চাল আসবে। কাজেই, সবমিলিয়ে আমাদের কোন মেজর প্রবলেম হবে না। কোন খাদ্য সংকট, হাহাকার- এ রকম কিছু হবে না।’

This post has already been read 3451 times!

Check Also

আমন ধানে ব্রাউন প্ল্যান্ট হপার আক্রমণ: ফলনের ক্ষতি ও করণীয়

ড. মো. মাহফুজ আলম: বাংলাদেশে ধান প্রধান ফসল হিসেবে পরিচিত এবং এর উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির …