কৃষিবিদ মো. আব্দুল্লাহ-হিল-কাফি (রাজশাহী) : বারি বাতাবি লেবু-৩ একটি ভালো জাত যা সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। এছাড়াও বারি মাল্টা-১ খুবই ভালো মানের ফল। আমাদের কমলা ও মাল্টাতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে হবে, রপ্তানির যোগ্যতা অর্জন করতে হবে এবং এই লক্ষ্য নিয়ে সবাইকে কাজ করতে হবে।
গত ১০ মার্চ “লেবু জাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধি”প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত আঞ্চলিক কর্মশালায় এসব কথা বলেন উপস্থিত বক্তাগণ। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (রাজশাহী অঞ্চল) উক্ত কর্মশালার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন উপজেলা হতে লেবু জাতীয় ফসলের ওপর স্লাইড প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আল মুজাহিদ সরকার।
বক্তারা বলেন, ভিটামিন সি খাদ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, প্রতিদিনই যার প্রয়োজন হয়। আর ভিটামিন সি এর প্রধান উৎস হলো লেবু জাতীয় ফসল। উৎপাদন বাড়িয়ে আমাদের দেশের লেবু জাতীয় ফসলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে হবে। দেশে মাল্টা, বাতাবি লেবু, কমলা, এলাচি লেবু, জারা লেবু, কলম্বো লেবু, সাতকরাসহ নানা ধরনের লেবুজাতীয় ফল রয়েছে। এসব ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য দেশ ব্যাপী বিপ্লব ঘটাতে হবে। এগুলোর প্রসার ও উন্নয়নে সবাইকে আন্তরিক হতে হবে। সাইট্রাস বা লেবুজাতীয় ফলের মধ্যে দেশে মাল্টা, কমলা ও বাতাবি লেবুর চাষের প্রচুর সম্ভাবনাও রয়েছে।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরেজমিন উইং, খামারবাড়ি, ঢাকা এর পরিচালক কৃষিবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বগুড়া অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. ইউসুফ রানা মন্ডল এবং লেবু জাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ ড. ফারুক আহমদ। উক্ত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাজশাহী অঞ্চল, রাজশাহীর অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. মাসুদুর রহমান।