সিলেট সংবাদদাতা: মেয়াদ উত্তীর্ণ সার ও কীটনাশক প্রয়োগে ১৮০ শতক জমির প্রায় ৬ লাখ টাকার ফসলের ক্ষতির অভিযোগ সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কৃষকদের। কৃষকদের ক্ষতি পূরণ প্রদান ও মোগলাবাজারের মাহদী ট্রেডাসের মালিক অসাধু ব্যবসায়ী বাবুল আহমদ ও তার সহযোগীদেরকে আইনে আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে গতকাল দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা তালুকদার এর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক কান্দিয়াচর গ্রামের আরবী আলী ও নেগাল গ্রামের নজির আহমদ।
স্মারকলিপি সূত্রে জানা যায়, মোগলাবাজারের মাহদী ট্রেডাসের মালিক বাবুল আহমদ এর কাছ থেকে কান্দিয়ারচর ও নেগাল গ্রামের হত-দরিদ্র কৃষকগণ সার, কীটনাশক, বিষ ক্রয় করে বাবুলের পরামর্শে গম, লাউ, শিম, টমেটো, শশা, পাতা কপি, ধনিয়া সহ বিভিন্ন জাতের সবজিতে ছিটিয়ে দেন। এরপর থেকে ফসল নষ্ট হতে শুরু করে। বিষয়টি বাবুলকে জানালে তার পরামর্শে আবারো কীটনাশক ও বিষ ফসলে দেই। তাতে কোন কাজ না হয়ে উল্টো সবজি গাছগুলো মরে সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে গেছে।
পরে অভিজ্ঞদের দেখিয়ে কৃষকরা জানতে পারেন, বাবুলের দোকানের কীটনাশক ও পাথরের মত চাকা সারের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। এ কারণে ১৮০ শতক জমির সবজি ফসল মরে গেছে। এতে প্রায় ৬ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। “অ
অভিযোগকারী কৃষকেরা বলেন, আমারা দরিদ্র কৃষকগণ ঋণ করে সবজি চাষ করেছিলাম। সবজি খেত নষ্ট হয়ে যাওয়া ঋণ পরিশোধ করার কোন উপায় আমাদের নেই। কৃষকরা বিষয়টি উপজেলা কৃষি মাঠ অফিসার প্রাণতুষ ও মুমিন এর সাথে যোগাযোগ করলেও তারা সরেজমিনে আসার কথা দিলেও এখন পর্যন্ত আসেনি। বরং তারা বাবুলের কথামত সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতে বলেন। তাদের কথামত সার, কীটনাশক ব্যবহার করে আজ আমরা পথের ফকির।
তারা জানান, বিগত ৩ বছর যাবৎ বাবুল আহমদ তার মালিকানাধীন মাহদী ট্রেডাসের মাধ্যমে মেয়াদ উত্তীর্ণ সার ও কীটনাশক বিক্রি করে অত্র এলাকার কৃষকদের ক্ষতি সাধন করে যাচ্ছে। এতে এ পর্যন্ত প্রায় ১৩ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করেছে বাবুল।
কৃষকগণ তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও কৃষকদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসেরর নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন।