নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): ভোলা সদরে বারি উদ্ভাবিত চিনাবাদাম ও সয়াবিনের উৎপাদনশীলতা এবং উৎপাদন প্রযুক্তি বিষয়ক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৫ মার্চ (শুক্রবার) উপজেলার চর কুমারীয়ায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সরজমিন গবেষণা বিভাগের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএআরআই) মহাপরিচালক ড. দেবাশিষ সরকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন তেল বীজ গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. আব্দুল লতিফ আকন্দ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের (আরএআরএস) মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রফি উদ্দিন।
আয়োজক প্রতিষ্ঠানের ঊধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা গাজী নাজমুল হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বৃহত্তর বরিশাল ও ফরিদপুর অঞ্চলের ডাল উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. ছালেহ উদ্দিন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) উপপরিচালক মো. হাসান ওয়ারিসুল কবীর, ভাসমান কৃষি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার, বিএআরআই’র সরেজমিন গবেষণা বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. সহিদুল ইসলাম খান, ডিএই’র অতিরিক্ত উপপরিচালক এস. এম. মিজান মাহমুদ, কৃষক মো. সুলায়মান, মো. আলাউদ্দিন প্রমুখ।
প্রধান অতিথি বলেন, ভোলার মাটিতে অন্যান্য তেল ফসলের পাশাপাশি চীনাবাদাম ও সয়াবিন চাষের জন্য বেশ উপযোগী। তাই দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার ভোজ্যতেলের চাহিদা মেটাতে এই জেলার কৃষকরা নিতে পারেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এর অংশ হিসেবে এখানকার বিভিন্ন চরে বারি উদ্ভাবিত তেল ফসল আবাদের মাধ্যমে ফসলের উৎপাদনশীলতা বাড়ানো সম্ভব। এতে কৃষকরা লাভবান হবেন। সেই সাথে তাদের জীবনমানেরও উন্নয়ন হবে। মাঠ দিবসে দেড় শতাধিক কৃষক উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রধান অতিথি বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে চাষকৃত গুরুত্বপূর্ণ ফল, পান, সুপারি ও ডাল ফসলের পোকামাকড় সনাক্তকরণ ও সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও বিস্তার কর্মসূচির আওতাধীন মুগ ও পানচাষিদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন জৈব বালাইনাশক এবং আঠালো ফাঁদ বিতরণ করেন।