গাজীপুর সংবাদদাদ: আমরা এখন আর কীটনাশকের বিষ মিশ্রিত খাবার খেতে চাই না। আমাদের দেশে কৃষকেরা অনেক সময় ফসলে মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণ কীটনাশক ব্যবহার করে থাকেন। ফসলে অধিক পরিমাণে কীটনাশক ব্যবহার করলে তা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকির কারণ হয়ে উঠতে পারে। এজন্য আমাদের ফসলে জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করতে হবে। এতে আমরা যেমন নিরাপদ থাকবো তেমনি আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের স্বাস্থ্যঝুকি কমে আসবে।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর কীটতত্ত্ব বিভাগের উদ্যোগে “জৈব বালাইনাশক প্রযুক্তির মাধ্যমে ফল ও শাক-সবজির পোকামাকড় ও রোগবালাই ব্যবস্থাপনা” শীর্ষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বারি’র মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার এসব কথা বলেন। আমরা আশা করি, এই তথ্য প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীগণ সমাজের সকলের কাছে পৌছে দিয়ে জনসচেতনতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন- যোগ করেন মহাপরিচালক।
রবিবার (২৭ মার্চ) ইনস্টিটিউটের কাজী বদরুদ্দোজা মিলনায়তনে উক্ত কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ‘বাংলাদেশে শাক-সবজি, ফল ও পান ফসলের পোকমাকড় ও রোগবালাই ব্যবস্থাপনায় জৈব বালাইনাশক ভিত্তিক প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প’ এর অর্থায়নে আয়োজিত এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ৭০ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন। বারি’র পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. মো. সাইফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. মো. কামরুল হাসান ও উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মতিয়ার রহমান। বারি’র কীটতত্ত্ব বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আখতারুজ্জামান সরকার এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কীটতত্ত্ব বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান ড. নির্মল কুমার দত্ত।