নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এখন দরকার প্রোটিনের চাহিদা মিটিয়ে একটি মেধাবী জাতি গঠন করা। আস্থা বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষেযর প্রোটিনের চাহিদা পূরণে এক গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় (১ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের চরকামালদী এলাকায় আস্থা ফিড ইন্ড্রাট্রিজ লিমিটেড এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কথাগুলো বলছিলেন আস্থা ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড -এর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) এমএ মালেক। তিনি বলেন, ‘আস্থা ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, নারায়ণগঞ্জ ইউনিটের শুভ উদ্বোধন এই দিনটির জন্য আমাদের দীর্ঘ ১৯টি মাস অপেক্ষা করতে হয়েছে । আজ সেই আকাঙ্ক্ষিত শুভদিন। আজকের এই দিনে ব্যক্তিগতভাবে আমি খুবই আনন্দিত, উচ্ছ্বসিত, আবেগ আপ্লুত’।
এমএ মালেক বলেন, গত ১৯ মাস যাবৎ রেন্টাল ফিড মিলের মাধ্যমে আস্থা ফিড আমরা বাজারজাত করে আসছি। ইতিমধ্যে পণ্যের গুণগত মানের ধারাবাহিকতা এবং উন্নতগ্রাহক সেবা কার্যক্রমের মাধ্যমে খুব অল্প সময়ে ক্রেতার আস্থা অর্জনে, আস্থা ফিডকে নিয়ে গেছে এক অনন্য উচ্চতায়। মাত্র ১৯ মাসে ৩টি আইটেমের মাধ্যমে সম্পূর্ণ রেন্টাল ফিড মিল দিয়ে, মাসিক ফিড বিক্রি ১৩ হাজার মে. টনের মাইলফলক স্পর্শ করা -এটি বাংলাদেশের পোল্ট্রি ইতিহাসে এক অনন্য নজির। আমাদের এই সফলতা আসার পিছনে মূল শক্তি হলো- পণ্যের গুনাগুন ও সেবার মাধ্যমে আস্থা ফিডের প্রতি গ্রাহকের আস্থা অর্জন এবং একঝাঁক তরুন, কর্মঠ ও মেধাবী বিক্রয় কর্মীর আন্তরিক পরিশ্রম ও কষ্টের প্রতিফলন।
তিনি বলেন, আশির দশকের এই পোল্ট্রি শিল্প হাটি হাটি পা পা করে আজ বাংলাদেশে ২য় বৃহত্তম শিল্প হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। পোলট্রি শিল্প এখন আর ছোট কোন শিল্প নয়। বর্তমানে এই শিল্পে প্রায় ৩৫ হাজর কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ১ কোটি মানুষেয় কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। ২০৩১ সন নাগাদ এই শিল্পে ১ কোটি ৫০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে বলে আমরা আশা করছি।
‘শুধু তাই নয়, বর্তমানে আমাদের দেশের মানুষ গড়ে প্রতি বছর ১০৪ টি ডিম খেয়ে থাকে ২০৪১ সাল নাগাদ প্রতিটি মানুষের ২০৮টি করে ডিমের প্রয়োজন হবে, বলে বিশেষজ্ঞদের মতামত। দেশে প্রতি মাসে গড়ে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ মে.টন পোল্ট্রি ও পশুখাদ্য উৎপাদন হয় এবং সপ্তাহে ব্রয়লার বাচ্চাৎ উৎপাদন হয় ১ কোটি ৭০ লাখ পিস । যদিও কোভিড পরিস্থিতির কারণে বর্তমান এর উৎপাদন কিছুটা হ্রাস পেয়েছে’ -যোগ করেন এমএ মালেক।