ফকির শহিদুল ইসলাম (খুলনা) : খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে দেশের মৎস্য সম্পদের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটেছে। ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে। কিন্তু অগ্রগতির হার আরো বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, অনেক মৎস্যজীবী নির্বিচারে জাটকা নিধন ও মা ইলিশ ধ্বংস করছে। সরকার এ ধরণের কর্মকান্ড বন্ধের লক্ষ্যে ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকাকালীন মৎস্যজীবীদের মাঝে ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে চাল বিতরণ ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদানসহ নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
সিটি মেয়র আজ সোমবার (১১ এপ্রিল) সকালে নগরীর গল্লামারীস্থ মৎস্যবীজ উৎপাদন খামারের মিলনায়তনে ‘‘ইলিশ জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে দক্ষতা উন্নয়ন’’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় জেলা মৎস্য অধিদপ্তর-খুলনা তিন দিনব্যাপী এ কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় রূপসা, দিঘলিয়া ও তেরখাদা উপজেলার ২৫ জন মৎস্যজীবী অংশ গ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীদেরকে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞাকালীন বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য একটি করে বাছুর দেয়া হবে।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র আরো বলেন, মৎস্য সম্পদের জোগান বাড়াতে বর্তমান সরকার নদী ও খাল খনন শুরু করেছে। পাশাপাশি মাছের উৎপাদন বাড়াতে নানা প্রকল্প গ্রহণ করেছে। সিটি মেয়র তাঁর শৈশব ও কৈশোরের স্মৃতি চারণ করে বলেন, সে সময় খুলনাঞ্চলের নদ-নদী ও খাল-বিল মৎস্য সম্পদে ভরপুর ছিল। নানা প্রতিকূলতায় এ অঞ্চলের নদীগুলো এখন মাছ শুন্য হয়ে পড়েছে। তাই মাছের উৎপাদন বাড়াতে সংশ্লিষ্টদের সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিতে হবে।
জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কৃষিবিদ জয়দেব পাল-এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন মৎস্য অধিদপ্তর-খুলনার বিভাগীয় উপপরিচালক মো. আবু সাঈদ ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর-খুলনার পরিচালক ডা. সুখেন্দু শেখর গায়েন। কর্মশালায় খুলনা জেলার বিভিন্ন উপজেলার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও মৎস্যজীবীগণ অংশগ্রহণ করেন।