রবিবার , নভেম্বর ১৭ ২০২৪

কানাডার মানুষ লাইনে দাড়িয়ে রুটির প্যাকেট কিনছে -কৃষিমন্ত্রী

মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) সকালে সচিবালয়ে সার বিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শক কমিটির সভায় বক্তব্য রাখছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক, এমপি।

নিজস্ব প্রতিবেদক: বর্তমান সময়ে খাদ্য নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। করোনা ও যুদ্ধের কারণে দ্রব্যমূল্যের দাম অনেক বেড়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) বলেছে, বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম মার্চ মাসে রেকর্ড সর্বোচ্চ পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সারা বিশ্বে খাদ্য সংকটের আশঙ্কা আরো বেড়েছে। কানাডার মতো উন্নত দেশ যারা খাদ্য রপ্তানি করে সেখানে মানুষ লাইনে দাড়িয়ে রুটির প্যাকেট কিনছে। একজনকে ২ প্যাকেটের বেশি রুটি ও ৫ লিটারের বেশি ভোজ্যতেল দিচ্ছে না। পরিবারের সবাই ছেলে-মেয়ে নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে রুটি-তেল কিনছে। এ অবস্থায়, দেশে কৃষির উৎপাদন ও ফলন অব্যাহত রাখতে হবে। কোনক্রমেই খাদ্যের জন্য বিদেশের ওপর নির্ভরশীল হওয়া যাবে না। খাদ্য নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয়, সেলক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।

মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) সকালে সচিবালয়ে সার বিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শক কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি এসব তথ্য জানান। ‘এ বছর দেশে সারের ভর্তুকিতে ব্যয় হচ্ছে ৩০ হাজার কোটি টাকা এবং ইতোমধ্যে প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি প্রদান করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এ সময় শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম মতিয়া চৌধুরী, জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি, কৃষিসচিব সচিব মো: সায়েদুল ইসলাম, শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বলাইকৃষ্ণ হাজরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, কোভিড পরিস্থিতির প্রভাবে বিশ্বব্যাপী সারের মূল্য অস্বাভাবিক পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে সারের সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। সব মিলিয়ে সারের ভর্তুকিতে এ বছর ব্যয় হচ্ছে ৩০ হাজার কোটি টাকা, যা গতবছরের তুলনায় চার গুণের বেশি। বিগত ২০২০-২১ অর্থবছরে  ভর্তুকিতে লেগেছিল ৭ হাজার ৭১৭ কোটি টাকা।

ড. রাজ্জাক আরও বলেন, বছরে সারে ৩০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়া সারা বিশ্বের বিরল ঘটনা। পৃথিবীর কোন দেশে এতো ভর্তুকি দেয়ার উদাহরণ নেই। ভর্তুকি কমাতে বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার চাপও রয়েছে। কিন্তু কৃষকদরদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকের স্বার্থে ও খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখতে আন্তর্জাতিক সংস্থার আপত্তি উপেক্ষা করে ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছেন। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে সারের দাম তিনগুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেলেও বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার কৃষক পর্যায়ে সারের মূল্য বৃদ্ধি করেনি। অব্যাহতভাবে ভর্তুকি দিয়ে সুলভমূল্যে সার সরবরাহের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদনের ধারা বজায় রেখেছে।

বর্তমানে সারের মজুদ ও চাহিদা তুলে ধরে মন্ত্রী জানান, চাহিদার বিপরীতে বর্তমানে দেশে সব ধরণের সারের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। সারের কোন সংকট নেই।

এর আগে সভায় ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য মোট রাসায়নিক সারের চাহিদা নির্ধারণ করা হয় প্রায় ৬৭ লাখ টন। এর মধ্যে ইউরিয়া ২৬ লাখ টন, টিএসপি ৭ লাখ টন, ডিএপি ১৫ লাখ টন, এমওপি সাড়ে ৭ লাখ টন, জিপসাম সাড়ে ৫ লাখ টন, জিংক সালফেট ১ লাখ  ৪১ হাজার টন এবং বাকীগুলো জিপসাম, বোরন প্রভৃতি।

This post has already been read 3501 times!

Check Also

বিশ্ব পোলিও দিবস উপলক্ষে রোটারি ক্লাব অব রাজশাহী সেন্ট্রালের বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি সম্পন্ন

রাজশাহী সংবাদদাতা: বিশ্ব পোলিও দিবস উপলক্ষে রোটারি ক্লাব অব রাজশাহী সেন্ট্রালের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) …