নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশালে মুগ ফসলের পোকামাকড় সনাক্তকরণ ও সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রযুক্তি বিষয়ক কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রহমতপুরের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে (আরএআরএস) এই মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে চাষকৃত গুরুপূর্ণ ফল, পান, সুপারি এবং ডাল ফসলের পোকামাকড় সনাক্তকরণ ও সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও বিস্তার কর্মসূচির উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আরএআরএস’র মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রফি উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আরএআরএস’র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম কিবরিয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম এবং কর্মসূচি পরিচালক ড. মো. মাহবুবুর রহমান।
বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঊধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মোস্তাক আহমেদ, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রাজি উদ্দিন, কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক, কৃষক রতন শরীফ প্রমুখ।
প্রধান অতিথি কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, মুগ খেতে যেমন সুস্বাদু। তেমনি পুষ্টিগুণেও ভরপুর। আমিষের পাশাপাশি মুগে আছে একাধিক গৌণ উপদান। তাই আমাদের চাহিদা পূরণে দরকার এর নিরাপদ উৎপাদন। আর তা বাস্তবায়ন হলে কৃষকরা লাভবান হবেন। সেই সাথে পরিবেশ থাকবে অনুকূলে।
কর্মসূচি পরিচালক ড. মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, অন্যান্য ফসলের ন্যায় মুগের রোগপোকা দমনে কৃষকরা সাধারণত রাসায়নিক বালাইনাশক ব্যবহার করে থাকেন। এতে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যায়। তাছাড়া সময়মত সঠিক ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণে তেমন কোনো কাজে আসে না। এজন্য নিরাপদ উপায়ে পোকা দমনে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে কর্মসূচির আওতাধীন বরিশালের ৬ জেলার বেশ কিছু সংখ্যক মুগডাল চাষিকে বিনামূল্যে আঠালো ফাঁদসহ বিভিন্ন জৈব বালাইনাশক বিতরণ করা হয়েছে। মাঠ দিবসে উজিরপুর, বাকেরগঞ্জ ও বানারীপাড়ার ৮০ জন কৃষক অংশগ্রহণ করেন।