নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): মাদারীপুরে তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের চলমান কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনার ওপর আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সদর উপজেলার হর্টিকালচার সেন্টারে ডিএই বরিশাল ও ফরিদপুরের যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ফরিদপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক স্বপন কুমার খাঁ।
ডিএই মাদারীপুরের উপপরিচালক মো. মোয়াজ্জেম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিএই বরিশালের অতিরিক্ত পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হারুন-অর-রশীদ, বরিশালের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রফি উদ্দিন এবং বরিশালের বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলমগীর হোসেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক হিসেবে ছিলেন প্রকল্প পরিচালক মো. জসীম উদ্দীন।
দুমকির উপজেলা কৃষি অফিসার মেহের মালিকার সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিএই গোপালগঞ্জের উপপরিচালক ড. অরবিন্দ কুমার রায়, ডিএই ফরিদপুরের উপপরিচালক ড. মো. হযরত আলী, বরিশালের কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের যুগ্ম পরিচালক ড. একেএম মিজানুর রহমান, ডিএই পটুয়াখালীর জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মো. খায়রুল ইসলাম মল্লিক, উপ-প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ আরশেদ আলী চৌধুরী, প্রকল্পের সিনিয়র মনিটরিং অফিসার রথীন্দ্রনাথ বিশ^াস, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ছয়েমা খাতুন, নাজিরপুরের উপজেলা কৃষি অফিসার দিগবিজয় হাজরা, ভোলা সদরের উপজেলা কৃষি অফিসার মুহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন, তজুমুদ্দিনের উপজেলা কৃষি অফিসার অপূর্ব লাল সরকার, জাজিরার উপজেলা কৃষি অফিসার মো. জামাল হোসেন, নড়িয়ার কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. নাজমুল হুদা প্রমুখ।
প্রধান অতিথি বলেন, তেল ফসল খাদ্যের অন্যতম উপকরণ। এর মধ্যে সরিষা রয়েছে বিশেষ অবস্থানে। অন্যান্য তেল ফসলও গুরুত্বপূর্ণ কম নয়। তাই এগুলোর আবাদ এবং উৎপাদন বাড়াতে হবে। তাহলেই ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভরতা কমবে। হবে পুষ্টির নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ। দিনব্যাপী এ কর্মশালায় কৃষিসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ১৭৫ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।