নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশালে লেবুজাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৫ এপ্রিল) নগরীর ব্রির সম্মেলনকক্ষে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ডিএই’র পরিচালক ( প্রশাসন ও অর্থ উইং) বশির আহম্মদ সরকার।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রফি উদ্দিন এবং প্রকল্প পরিচালক ফারুক আহমদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হারুন-অর-রশীদ।
প্রধান অতিথি বলেন, লেবু ভিটামিন সিসমৃদ্ধ ফল। এ জাতীয় ফসল দেশের আভ্যন্তরিণ চাহিদা মিটিয়ের বিদেশে রফতানির রয়েছে বিশাল সুযোগ। পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক প্রতি ইঞ্চি জমি ব্যবহার নিশ্চিতকরণেও ভূমিকা রাখতে পারবে। এজন্য দরকার উন্নত জাতের চারা-কলম সরবরাহ। এ বিষয়ে কৃষকদের হাতে-কলমে শেখাতে হবে। আর তা মাঠে প্রয়োগ করলে প্রকল্পের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হবে। কৃষকরাও হবেন লাভবান।
দিনব্যাপী এ কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিএই পটুয়াখালী উপপরিচালক ড. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম শিকদার, ডিএই ঝালকাঠির উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো. আসাদুল হক, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের যুগ্ম পরিচালক ড. একেএম মিজানুর রহমান, হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ডিএই বরগুনার অতিরিক্ত পরিচালক এস. এম. বদরুল আলম, ডিএই বরিশালের অতিরিক্ত পরিচালক মোসামৎ মরিয়ম, ডিএই পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পরিচালক মো. জাকির হোসেন তালুকদার, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) ঊধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মীর মনিরুজ্জামান কবীর, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ছয়েমা খাতুন, নাজিরপুরের উপজেলা কৃষি অফিসার দিগবিজয় হাজরা, মেহেন্দিগঞ্জের উপজেলা কৃষি অফিসার মো. হারুন-অর-রশিদ, গৌরনদীর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মামুনুর রহমান, নেছারাবাদের উপজেলা কৃষি অফিসার চপল কৃষ্ণ দেবনাথ, মঠবাড়িয়ার উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মনিরুজ্জামান, নলছিটির কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আলী আহম্মদ, উজিরপুরের মাল্টাচাষি জুবায়েদ, বানারীপাড়ার কৃষক টিটু খন্দকার প্রমুখ। কর্মশালায় কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ১ শ’ কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।