ফকির শহিদুল ইসলাম (খুলনা) : সুষম সার প্রয়োগ করলে ফসলের ফলন বাড়লেও এ ব্যাপারে দেশের অধিকাংশ কৃষক উদাসীন। সুষম সার প্রয়োগ করলে ফলন বাড়ার পাশাপাশি সারের অপচয় কম হয়, কৃষক আর্থিকভাবে লাভবান হয়, মাটির স্বাস্থ্য ভালো থাকে, পরিবেশ দূষণ কম হয়। এছাড়া সুষম সার ব্যবহার করলে ফসলের পুষ্টিমান ভালো থাকে। তখন এই খাবার গ্রহণ করলে মানুষ অধিক পুষ্টি লাভ করে। বিবিধ লাভ হলেও কৃষক সুষম সার ব্যবহার করতে চায় না, কারণ সুষম সারের মাত্রা তারা সহজে জানতে পারে না। তবে ২০১৯ সাল হতে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট কর্তৃক পরিচালিত গোপালগঞ্জ, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও পিরোজপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প (এসআরডিআই অংগ) কৃষকদের মাঝে সুষম সার প্রয়োগের জন্য খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার ১৬১টি ইউনিয়নের সবকয়টি ইউনিয়নের ইউনিয়ন ভূমি, মাটি ও সার সুপারিশ সহায়িকা প্রকাশিত হবে।
ইতিমধ্যে ১১৩টি ইউনিয়নের ভূমি, মাটি ও সার সুপারিশ সহায়িকা প্রকাশিত হয়েছে। এই সকল ভূমি, মাটি ও সার সুপারিশ সহায়িকা উপজেলা কৃষি অফিসে বিতরণ করা হয়েছে। যা ব্যবহার করে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের সহজেই সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ফসল ভিত্তিক সারের মাত্রা জানাতে পারছে। পাশাপাশি, বর্ণিত প্রকল্পের অর্থায়নে পাঁচটি জেলায় চলতি অর্থবছরে সুষম সার ব্যবহারের উপর ৩০০টি এডাপ্টিভ ট্রায়াল (প্রায়োগিক ট্রায়াল) প্লট স্থাপন করা হয়েছে।
এই এডাপ্টিভ ট্রায়ালের একজন হলেন, খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার তরমুজ চাষী অলোকেশ রায়। তিনি সুষম সার ব্যবহার করে অন্যান্য কৃষকের চেয়ে কম সার ব্যবহার করেও তরমুজের আশাতীত ফলন পেয়েছেন। তিনি ৮ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। এই ৮ বিঘা হতে তিনি ১২ লক্ষ টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন।
এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও পিরোজপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প (এসআরডিআই অংগ)র প্রকল্প পরিচালক অমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন,উপকুলীয় অঞ্চলের কৃষকদের মাঝে সুষম সার প্রয়োগের জন্য খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার ১৬১টি ইউনিয়নের সবকয়টি ইউনিয়নের ইউনিয়ন ভূমি, মাটি ও সার সুপারিশ সহায়িকা শিগ্রই প্রকাশিত হবে। ইতোমধ্যে এই প্রকল্পের আওতায় ১১৩টি ইউনিয়নের ভূমি, মাটি ও সার সুপারিশ সহায়িকা প্রকাশিত হয়েছে। যার প্রয়োগ পদ্ধতি ব্যাবহারের ফলে কৃষকদের ব্যাপক ফসল উৎপান বৃদ্ধি পেয়েছে।