শহীদ আহমেদ খান: আন্তর্জাতিক ধান গবেষনা ইন্সটিটিউট (ইরি) এর তত্ত্বাবধানে সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার বালিজুড়ি ইউনিয়নের বালিজুড়ি গ্রামে ইরি-এগ্রি প্রকল্পের নমুনা শস্য কর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিল্ড এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে এফআইভিডিবি’র সহযোগিতায় মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় উপজেলার বালিজুড়ি গ্রামের কৃষক জুবায়ের আহমেদ এর জমিতে শস্য কর্তন করা হয়।
প্রদর্শনীতে ৫ প্রকার (ব্রি ধান-৯৬, ব্রি ধান-৮৮, ব্রি ধান-৮৪, ব্রি ধান-৬৭ ও ব্রি ধান ২৮) জাতের ধানের চাষ করা হয়। কৃষক জুবায়ের আহমেদ ব্রি ধান ৯৬, ব্রি ধান ৮৮ ও ব্রি ধান ৬৭ জাত ৩টি বেশি পছন্দ করেছে।
আন্তজার্তিক ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (ইরি)’র বাস্তবায়নাধীন নমুনা শস্য কর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তাহিরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার হাসান উদ দৌল্লা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তজার্তিক ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (ইরি) এর সিনিয়র স্পেশালিষ্ট, (এগ্রিকালচারাল রিসার্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট) মোহাম্মদ আশরাফুল হাবিব। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইরির ফ্রেন্ডস ইন ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশ (এফআইভিডিবি) প্রজেক্ট অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম, কৃষক জুবায়ের আহমেদ সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (ইরি) এই এলাকার জন্য উপযোগী আধুনিক উচ্চ ফলনশীল (উফসি) জাতের ধান কৃষকের চাহিদা অনুযায়ী নির্বাচনের জন্য উপরোক্ত ৫টি জাত দ্বারা অত্র প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকের জমিতে হেড টু হেড প্রদর্শনী স্থাপন করেন।
কৃষক জুবায়ের আহমেদ বলেন ব্রি ধান ৯৬ ও ব্রি ধান ৮৮ হাওর অঞ্চলের জন্য উপযোগী জাত। আজকে ৪টি জাতের ফসল কর্তন করা হয় যার গড় ফলন ব্রি ধান ৯৬ = ৫.০ টন/হেঃ, ব্রি ধান ৮৮ = ৫.৫ টন/হেঃ, ব্রি ধান ৮৪ = ৪.২ টন/হেঃ এবং ব্রি ধান২৮= ৩.৬৯ টন/হেঃ।