বাকৃবি সংবাদদাতা: বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ একটি অতি ক্ষুদ্র দেশ কিন্তু আয়তনের তুলনায় জনসংখ্যা অনেক বেশি। দিনে দিনে আমাদের জনসংখ্যা বেড়েই চলেছে কিন্তু কমে যাচ্ছে আবাদি জমির পরিমাণ। এমতাবস্থায় খাদ্য নিরাপত্তা আমাদের দেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বিপুল জনসংখ্যার খাদ্যের চাহিদা মেটাতে প্রয়োজন ফলনবর্ধক পন্য। আর সে কাজটি নিখুঁতভাবে করে চলেছে ফ্লোরা। পরিবেশকে অক্ষুণ্ণ রেখে ফসল উৎপাদনে যেটি আজ সকল পর্যায়ের কৃষকদের নিকট বহুল সমাদৃত। কৃষি ও কৃষককে সমৃদ্ধ করাই এসিআই-এর মূল লক্ষ। ফ্লোরার মাধ্যমে সবসময় কৃষকের মুখে হাসি দেখতে চায় এসিআই।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) জুলাই-ডিসেম্বর’২১ সিজনের “ফ্লোরা লাকী কুপন ড্র”-সিজন-৩ এর উপলক্ষে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে জুমে সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন এসিআই ক্রপ কেয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুস্মিতা আনিস।
প্রধান অতিথি বলেন, বাংলাদেশের কৃষির অগ্রযাত্রায় ফসলের ফলন বৃদ্ধির মাধ্যমে কৃষি উন্নয়নে ফ্লোরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। কৃষি থাকবে কৃষক থাকবে। তাই অল্প আবাদি জমি দিয়ে এই বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্য যোগান দেয়া সরকারের পাশাপাশি আমাদেরও একটি বড় দায়িত্ব। সর্ববৃহৎ কৃষি সমন্বয়কারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে এসিআই সব সময় পরিবেশকদের মাধ্যমে কৃষকের হাতে আধুনিক টেকনোলোজি তুলে দিয়ে কৃষি ও কৃষকের এবং সর্বোপরি দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় ভূমিকা রেখে আসছে বলেন তিনি।
সুস্মিতা আনিস বলেন, বর্তমান সময়ে সারাবিশ্বে খাদ্য সংকট চলছে। ফ্লোরা ধানে ব্যবহার করলে প্রায় ২০-২৫ শতাংশ ফলন বাড়ে। বৈশ্বিক ভাবে খাদ্য সংকট চলছে, এই মুহুর্তে ধানে ফ্লোরা ব্যবহার করলে যেমন দেশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে ঠিক তেমনি নিশ্চিত হবে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা। ফ্লোরা শুধু দেশী পণ্যই না এটি একটি আন্তর্জাতিক প্যাটেন্ট পণ্য। বাংলাদেশ ব্যতীত পৃথিবীতে প্রায় ২০ টি দেশে ফ্লোরা ব্যবহৃত হচ্ছে। বিজনেস পার্টনারের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে এর প্রসার আরো বৃদ্ধি পাবে এমনটাই আশা করেন তিনি। ফ্লোরা লাকী কুপন ড্রতে বিজয়ী সকলকে অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা জানান তিনি।
রাজধানী তেঁজগাঁও এর এসিআই সেন্টারে দিনব্যাপি বর্ণাঢ্য এক আয়োজনে সারাদেশের ১১টি রিজিয়ন থেকে ১১ জন পরিবেশক এবং ৬০০-এর অধিক পরিবেশক জুম ও ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন।
ব্যবসায়িক সাফল্যের ধারাবাহিকতায় আয়োজিত “ফ্লোরা লাকী কুপন ড্র” সিজন-৩ -এর প্রথম পুরস্কারের সৌভাগ্য অর্জন করে ইয়ামাহা বাইক জিতে নেয় কুমিল্লার মেসার্স মারিয়া ট্রেডার্। দ্বিতীয় পুরষ্কার হিসেবে এসি জিতে নেয় যথাক্রমে যশোরের মেসার্স হাফিজ ট্রেডার্স ও চট্টগ্রামের মেসার্স এম আর ট্রেডার্স এবং তৃতীয় পুরষ্কার হিসেবে এন্ড্রয়েড টিভি জিতে নেয় যথাক্রমে যশোরের মেসার্স তৌফিক ট্রেডার্স, রংপুরের মেসার্স রব্বু এন্ড ব্রাদার্স এবং ঝিনাইদহের মেসার্স আশরাফুল ইসলাম সহ মোট ৫০ জন ভাগ্যবান পরিবেশক পুরস্কার জিতে নেন।
এসিআই ক্রপ কেয়ার-এর জেনারেল ম্যানেজার (মার্কেটিং) মোঃ আবদুর রহমান-এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে পরিবেশকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন এসিআই ফর্মূলেশনস্ লি:-এর অপারেশনস্ ডিরেক্টর ড. মুকতার আহমেদ সরকার, এসিআই ক্রপ কেয়ার-এর হেড অফ রিসার্চ এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট মি: সুবির চৌধুরী, ন্যাশনাল সেলস ম্যানেজার মোঃ হুমায়ুন কবির, জেনারেল ম্যানেজার (ইন্সটি্টিউশনাল সেলস্) মো: গিয়াস উদ্দিন, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রডাক্ট ম্যানেজার (ফ্লোরা) আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ।
সমাপনী বক্তব্যে ফ্লোরার এসিস্ট্যান্ট প্রোডাক্ট ম্যানেজার আবু বকর সিদ্দিক পরিবেশক, রিটেইলার এবং সমগ্র বাংলাদেশে কর্মরত ক্রপ কেয়ারের সকল রিজিয়নাল সেলস ম্যানেজার, এরিয়া সেলস ম্যানেজার, দায়িত্বরত টেরিটরি অফিসার, সেলস প্রোমোশন অফিসার ও ব্যান্ড প্রোমোশন অফিসারগণের সহযোগিতার জন্য সকলকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি আরও ধন্যবাদ জানান মাকেটং টিম, সেলস সাপোট টিম, ডিজিটাল মাকেটিং টিম, অন্যান্য টিমকে তাদের সাবিক সহযোগিতার জন্য। সর্বোপরি ম্যানেজিং ডিরেক্টর, সুস্মিতা আনিস, অপারেশন্স ডিরেক্টর ড. মুক্তার আহমেদ সরকার ও জেনারেল ম্যানেজার (মাকেটং), মোঃ আব্দুর রহমান মহোদয়ের প্রতি তাদের সব সময় আন্তরিক সহযোগিতা ও পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ জানান।
আবু বকর সিদ্দিক, বলেন ফ্লোরা দেশের খাদ্য উৎপাদন নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এটি তাদের সকলের জন্য অত্যন্ত গৌরবের। কৃষকদের লাভের অংক আরো বাড়িয়ে দিতে আমরা এমন একটি পণ্য দিয়ে সহায়তা করছি যা পরিবেশ-বান্ধব ও নিরাপদ ফসল উৎপাদনে অত্যন্ত কার্যকর। কৃষকদের মাঝে সঠিক সময়ে এ পণ্যটি সরবরাহ করছেন তাদের সম্মানিত পরিবেশকরা। এক্ষেত্রে তারা যথেষ্ট দায়িত্বের সাথে তাদের কর্তব্য পালন করছেন। তিনি সকল পরিবেশকদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। আগামীতে সম্মানিত পরিবেশকরা তাদের সহযোগিতার হাত আরো সম্প্রসারিত করে দেশের কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে দৃপ্ত ভূমিকা রাখবেন এমনটাই আশা করেন আবু বকর সিদ্দিক।