নিজস্ব প্রতিবেদক: বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বন্ধঘোষিত বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি)-এর মিলসমূহের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাওনা, কাঁচা পাট সরবরাহকারীদের পাওনা এবং অন্যান্য পাওনা (ষ্টোর সরবরাহ/ক্যারিং সংশ্লিষ্ট সরবরাহকারীদের) বাবদ সর্বমোট ৫৭৪.১৪ কোটি (পাঁচশত চুয়াত্তর কোটি চৌদ্দ লক্ষ) টাকা বিজেএমসি’র অনুকূলে বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
২০২১-২২ অর্থবছরের অর্থ বিভাগের সংশোধিত বাজেটে ‘পরিচালন ঋণ’ খাত হতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশন (বিজেএমসি) এর অনুকুলে ‘পরিচালন ঋণ’ হিসেবে ৫৭৪.১৪ কোটি (পাঁচশত চুয়াত্তর কোটি চৌদ্দ লক্ষ) টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়।
বরাদ্দকৃত অর্থ, ৩২৭.০৭ কোটি টাকা ১৯৮০ জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাওনা, ২,২১৭ জন কাঁচা পাট সরবরাহকারীদের পাওনা বাবদ ২৩৪.৯১ কোটি এবং ১,১১৯ জন ষ্টোর সরবরাহ/ক্যারিং সংশ্লিষ্ট সরবরাহকারীদের পাওনা বাবদ ১২.১৬ টাকা ব্যাতিত অন্য কোন খাতে ব্যয় করা যাবেনা। বরাদ্দকৃত অর্থ সংশ্লিষ্ট মিলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের, কাঁচা পাট সরবরাহকারী এবং ষ্টোর সরবরাহ/ক্যারিং সংশ্লিষ্ট সরবরাহকারীদের সুনির্দিষ্ট ব্যাংক এ্যাকাউন্ট এর মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের ১০ মে তারিখে স্বাক্ষরিত চিঠিতে জানানো হয়, আগামী ২০ বছরে (৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ) ৫ শতাংশ সুদে ষান্মাসিক কিস্তিতে এ অর্থ পরিশোধ করতে হবে। আর এ জন্য অর্থ বিভাগের সঙ্গে বিজেএমসিকে একটি ঋণ চুক্তি সম্পাদন করতে হবে। চিঠিতে বিশেষভাবে বলা হয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী/কাঁচাপাট সরবরাহকারী/ষ্টোর সরবরাহ বা ক্যারিং সংশ্লিষ্ট সরবরাহকারীদের পাওনা পরিশোধকালে বিজেএমসি কর্তৃপক্ষ তাদের পাওনার বিষয়টি সরকারি বিধি-বিধানের আলোকে পুনরায় যাচাই বাছাই করে নিশ্চিত হয়ে পাওনা পরিশোধ করবে। পাওনা পরিশোধকালে পাওনার বিষয়ে কোন অসঙ্গতি দৃষ্টিগোচর হলে বিজেএমসি/মিল কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে তা সংশোধনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ে সরকারের বিদ্যমান বিধি-বিধান অনুসরণ করতে হবে।
বিধি বহির্ভূতভাবে কোন অর্থ পরিশোধ করা হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা দায়ী থাকবেন। কোন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংশ্লিষ্ট মিল অথবা বিজেএমসি’র বিরুদ্ধে কোন মামলা করে থাকলে সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী মামলার সকল ধাপ সম্পন্ন হওয়ার পর আদালতের রায় অনুযায়ী অথবা উক্ত অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিকট হতে মামলা প্রত্যাহারপূর্বক লিখিত আবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে তাদের পাওনা পরিশোধের বিষয় বিবেচনা করতে হবে। অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মিল কর্তৃপক্ষের নিকট ব্যক্তিগত দায় বা নিরীক্ষা আপত্তি থেকে থাকলে উক্ত আপত্তি নিষ্পত্তি হবার পর যথাযথ বিধি-বিধানের আলোকে পাওনাদি পরিশোধ করতে হবে। অব্যয়িত অর্থ পরবর্তিতে সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করতে হবে।
এছাড়াও, বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ের ৭ (সাত) দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট মিলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মতর্কা-কর্মচারী/কাঁচা পাট সরবরাহকারী/ষ্টোর সরবরাহ বা ক্যারিং সংশ্লিষ্ট সরবরাহকারীদের তালিকাসহ বিস্তারিত ব্যয় বিবরণী অর্থ বিভাগে প্রেরণ করতে হবে।