মো. দেলোয়ার হোসেন (রাজশাহী) : ফ্রুট ব্যাগিং প্রযুক্তির মাধ্যমে উৎপাদিত আমের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বিদেশে। তাই আমে ব্যাগিং করে উৎপাদিত আম বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। আবাদ আমাদের দেশে এই আমের ভাল চাহিদা থাকায় উচ্চ মুল্যে বিক্রয় করে প্রচুর আয় করা সম্ভব। তিনি আরো বলেন, শুধু ব্যানানা ম্যাংগো নয় সকল জাতের আমেই ব্যাগিং করা হলে ভোক্তা পর্যায়ে চাহিদা বেশী থাকায় বাজারমুল্য বেশী পাওয়া যাবে। তাই তিনি উপস্থিত সকল আম চাষীকে বেশী বেশী আমে ব্যাগিং করার অনুরোধ জানান।
গত বৃহস্পতিবার (২৫ মে) পাবনার ঘাটনগর ইউনিয়নের ঘাটনগর ব্লকের সোমনগর গ্রামে আশরাফুলের বাগানে ফ্রুট ব্যাগিং প্রযুক্তির মাঠ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মো: শামছুল ওয়াদুদ এসব কথা বলেন। আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগ কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পোরশা উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে উক্ত মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, দেশের চাহিদা অনুযায়ী ফসল উৎপাদনের যেমন গুরুত্ব রয়েছে ঠিক তেমনিভাবে নিরাপদ ফসল উৎপাদনের গুরুত্ব অপরিসীম। আম উৎপাদনে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর পাশাপশি নওগাঁ জেলাতে ব্যাপকভাবে আমের চাষ শুরু হয়েছে। ফ্রুট ব্যাগিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে আম উৎপাদন করা হলে কীটনাশক প্রয়োগের প্রয়োজন হয় না বিধায় এই আমকে নিরাপদ আম বলা হয়ে থাকে।
পোরশা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সঞ্জয় কুমার সরকারের সভাপত্বিতে মাঠ দিবসে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগ কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের উপ প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মো: আমিনুজ্জামান।
কৃষক মো: আশরাফুল ইসলামের বাগানে ৭০ বিঘা জমিতে ব্যানানা ম্যাংগো জাতের আমে ফ্রুট ব্যাগিং প্রযুক্তি স্থাপনের মাধ্যমে নিরাপদ আম উৎপাদনের লক্ষ্যে ৪৫ হাজার আমে ফ্রুট ব্যাগিং এর আওতায় ব্যাগ পড়ানো হয়। ব্যাগিং এ জন্য আর্থিক সহায়তাসহ ব্যাগ সরবরাহ করা হয়।
বিশেষ অতিথি বলেন, ভোক্তাদের নিকট বিষমুক্ত নিরাপদ আম পাওয়ার নির্ভরযোগ্য উপায় হলো ব্যাগিং। তাই তিনি নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের লক্ষ্যে আমের ব্যাগিং করার অনুরোধ জানান।
সমাপনী বক্তব্যে সভাপতি বলেন, পোরশা আম গুণে ও মানে উৎকৃষ্ট। ভোক্তা পর্যায়ে জেলার বাহিরে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই এই সুনামকে ধরে রাখতে হলে বিষমুক্ত আম বাজারজাত করতে ব্যাগিং এর বিকল্প নাই। তিনি কৃষক পর্যায়ে সকলকে বেশী করে ব্যাগিং করার অনুরোধ জানান।
মাঠ দিবসে উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিকসহ প্রায় ১৫০ জন আম চাষী উপস্থিত ছিলেন।