নাটোর সংবাদদাতা: কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, কৃষিকে লাভজনক ও বাণিজ্যিক করতে আমরা কাজ করছি। সেজন্য প্রচলিত ফসলের পাশাপাশি কৃষকদেরকে অপ্রচলিত অর্থকরী ফসল চাষেও উৎসাহ ও প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। দেশে ও আন্তর্জাতিক বাজারে এই অ্যালোভেরার অনেক চাহিদা রয়েছে। খোলাবাড়িয়া গ্রাম অ্যালোভেরাসহ বিভিন্ন ঔষধি ফসল চাষের উদাহরণ। এর চাষ সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়া ও সুষ্ঠু বাজারজাতে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে। কম সুদে ঋণ প্রদান, রপ্তানির ব্যবস্থা ও প্রক্রিয়াজাতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার (০২ জুন) সকালে নাটোরের সদর উপজেলার খোলাবাড়িয়ায় ঔষধি গ্রাম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এর আগে মন্ত্রী ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরার মাঠ পরিদর্শন ও কৃষকদের সাথে মতবিনিময় করেন। খোলাবাড়িয়া গ্রামে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কৃষক ঘৃতকুমারীসহ বিভিন্ন ঔষধি ফসল চাষ করছেন। ন্যায্যমূল্য না পাওয়া, বাজারজাতে সমস্যাসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা এসময় কৃষকেরা তুলে ধরেন এবং ঔষধি ফসল চাষের সুরক্ষায় ও বিকাশে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করা হবে বলে জানান মন্ত্রী। এছাড়া, নাটোরের কৃষিপণ্য সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন ফসল রাখার সমন্বিত বা মাল্টিপল কোল্ড স্টোরেজ শীঘ্রই নির্মাণ করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
পরিদর্শনকালে নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর- ১ আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল,সংসদ সদস্য রত্না আহমেদ, কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি, সংসদ সদস্য শামীমা ইয়াসমিন, সংসদ সদস্য হোসনে আরা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ,পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।