বুধবার , নভেম্বর ২৭ ২০২৪

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে তাৎক্ষণিক সেবা পৌঁছাতে কল সেন্টার চালু

নিজস্ব প্রতিবেদক: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে মানুষের দ্বারপ্রান্তে তাৎক্ষণিক সেবা পৌঁছে দিতে কল সেন্টার চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

রবিবার (৫ জুন) রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ই-সেবা কার্যক্রম চালুকরণ’ প্রকল্পের আওতায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সেবা কল সেন্টারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা জানান।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও মো. তৌফিকুল আরিফ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা, সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক পুলকেশ মন্ডলসহ মন্ত্রণালয়, মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ। কল সেন্টারের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য গতিতে মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সংযুক্ত হয়েছে। প্রান্তিক পর্যায় থেকে শুরু করে যে কোন ব্যক্তি তার প্রয়োজনে সরাসরি সংযুক্ত হওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে এই ই-সেবা শুরু করা হয়েছে।  গতানুগতিক পদ্ধতির বাইরে দ্রুততম সময়ে যাতে মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায় সেজন্য কল সেন্টার চালু করা হয়েছে।

তিনি আরও যোগ করেন, প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য খাতে যে সমৃদ্ধি এসেছে তা ধরে রেখে এ খাতকে আমরা আরও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধ করতে চাই। শুধু সমৃদ্ধিই নয় গুণগত পরিবর্তনও এক্ষেত্রে আমাদের লক্ষ্য। কোন খামারি প্রতিকূল অবস্থার মুখোমুখি হলে বা কোন সমস্যায় পড়লে তাদের কাছে তাৎক্ষণিক সুবিধা উন্মুক্ত করার জন্য এ কল সেন্টার কাজ করবে। দেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতকে বিশ্বে বিস্ময়কর ও আধুনিক স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য কল সেন্টার হবে বড় ধরনের সহায়ক।

মন্ত্রী বলেন, কল সেন্টার একটি জরুরী সেবা। এখানে সেবার মনোভাবের পরিবর্তে দায়সারা কোন কার্যক্রম যেন না হয় সেটি লক্ষ্য রাখতে হবে। কল সেন্টারে যিনি কল করছেন তিনি এদেশের নাগরিক। সে নাগরিকের সেবা পাওয়ার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। সেবা প্রত্যাশীদের প্রতিটি কল গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে। নাগরিকদের সেবা দেয়া আমাদের লক্ষ্য। তাদের সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখতে হবে। এভাবে ডিজিটালাইজেশনের ধারা অব্যাহত রেখে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে আমূল পরিবর্তন চতুর্দিকে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাজধানীতে মৎস্য অধিদপ্তরের সদর দপ্তরে ১টি ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সদর দপ্তরে অপর ১টিসহ মোট ২টি কল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। মৎস্য অধিদপ্তরের কল সেন্টারের নম্বর ১৬১২৬ এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কল সেন্টারের নম্বর ১৬৩৫৮। আপাতত সপ্তাহে ৫দিন (রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মৎস্য খাতের ও প্রাণিসম্পদ খাতের খামারি ও উদ্যেক্তারা কলসেন্টার থেকে সরাসরি সেবা পাবেন। মৎস্যচাষী ও খামারিগণ মৎস্য চাষ, মাছের রোগবালাই ইত্যাদি সম্পর্কে টেলিফোন কল সেন্টার থেকে তথ্য ও সেবা পাবেন। একইভাবে প্রাণিসম্পদ খাতের খামারি ও উদ্যোক্তাগণ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কল সেন্টার থেকে গবাদিপশু পালন ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে পরামর্শ ও সেবা পাবেন।

This post has already been read 3028 times!

Check Also

ফিড নিরাপদ না থাকলে আমাদের শরীরও নিরাপদ থাকবেনা -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

বাকৃবি (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা: ফিডের জন্য অনেক ইনগ্রেডিয়েন্টস আমদানি করতে হয়। ফিড যদি নিরাপদ না হয় …