গাজীপুর সংবাদদাতা: আমরা চাই আমাদের (বারি’র) উৎপাদিত জাত ও প্রযুক্তি সকলের কাছে পৌছে দিতে। পাশাপাশি আমাদের উৎপাদন পর্যায়ে রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে এবং জৈব বালাইনাশকের ব্যবহার বাড়াতে হবে। আমি আশা করি এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এসব জৈব বালাইনাশক প্রযুক্তি মানুষের দোড়গোড়ায় পৌছাতে সহায়ক হবে। একই সাথে এই প্রশিক্ষণ এসএসএস কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তারা যে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে তাতে সহায়ক হবে এবং তাদেরকে দেখে অন্যান্য এনজিও সমূহও উৎসাহিত হবে।
রবিবার (০৫ জুন) বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ উইং এবং কীটতত্ত্ব বিভাগের যৌথ আয়োজনে সোসাইটি ফর সোসাল সার্ভিস (এসএসএস) এর কর্মকর্তাদের জন্য “পরিবেশসম্মত উপায়ে আনারস ও বিভিন্ন সাথী ফসলের ক্ষতিকর পোকামাকড় ব্যবস্থাপনা” শীর্ষক প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বারি’র মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার এসব কথা বলেন।
সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্ট (এসইপি), এসএসএস এর অর্থায়নে আয়োজিত ০৫-০৭ জুন তিন দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচীতে সোসাইটি ফর সোসাল সার্ভিস (এসএসএস) এর ১৫ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করছেন।
ড. দেবাশীষ সরকার বলেন, বর্তমান সরকার দেশের মানুষের কাছে নিরাপদ খাদ্য পৌছে দিতে বদ্ধ পরিকর। বারি দেশের কৃষি গবেষণার পথিকৃr। তাই এ প্রতিষ্ঠান উৎপাদিত খাদ্যকে নিরাপদ ও পুষ্টিসমৃদ্ধ করতে গবেষণা পরিচালনা করে আসছে। অল্প দামের ফসলকে কিভাবে ভ্যালু এড করে উচ্চমূল্যের ফসলে রূপান্তরিত করা যায় তা নিয়ে কাজ করছে।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন। বারি’র পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. ফেরদৌসী ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. মো. কামরুল হাসান, পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. তারিকুল ইসলাম, পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন) ড. অপূর্ব কান্তি চৌধুরী। বারি’র কীটতত্ত্ব বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আখতারুজ্জামান সরকার এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কীটতত্ত্ব বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান ড. নির্মল কুমার দত্ত।
এছাড়া অনুষ্ঠানে এসএসএস’র বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন সংগঠনের কৃষি বিভাগের প্রধান কৃষিবিদ প্রদীপ কুমার সরকার।